অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙছে ভোপাল মিউনিসিপ্যালিটির কর্মচারীরা। ছবি পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের পর মধ্যপ্রদেশেও গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্তের বাড়ি প্রশাসনিক তৎপরতায় ভেঙে দেওয়া হল। একই দিনে।
ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় শনিবার মধ্যপ্রদেশে, ভূপালের মালবীয় নগরে, এক মহিলাকে তিন দুষ্কৃতী ব্লেড নিয়ে আক্রমণ করেছিল। ১১৮টি সেলাই করতে হয় ওই মহিলার দেহে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। তার পর একটি বাড়ি ভাঙার ভিডিয়ো শেয়ার করেন তিনি। তিনি লেখেন, 'ব্লেড দিয়ে হামলার কড়া শাস্তিস্বরূপ অভিযুক্তের বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
শিবরাজের এই টুইটের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদালত বিচার করার আগেই কোনও সরকার এ ভাবে নিজের সিদ্ধান্তে কাউকে শাস্তি দিতে পারে কি না। ঘটনাচক্রে, একই প্রশ্ন উঠেছে আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের দিকেও।
বিজেপির মুখপাত্র (এখন সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের সহারানপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনের বাড়ি শনিবার চুরমার করে দিয়েছিল সরকারি বুলডোজার।
রবিবার প্রয়াগরাজেও ভাঙা হয়েছে একই ইস্যুতে 'হিংসা ছড়ানোয় প্রধান অভিযুক্তের' বাড়ি। যদিও উত্তরপ্রদেশের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেআইনি নির্মাণ ছিল বলেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও বিতর্কিত। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং জানাচ্ছেন, মহিলার উপর হামলায় অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে প্রশাসন। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় সংবিধান বিচারব্যবস্থার অনুমতি বা নির্দেশ ছাড়া, কোনও নির্বাচিত সরকারকেও বিচার করে শাস্তি দেওয়া অনুমোদন করে কি না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।