চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
প্রায় তিন দিন কেটে গেলেও পরিত্যক্ত কুয়োয় আটকে পড়ে রয়েছে ১১ বছরের নাবালক। অবশেষে প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজে নামানো হল রোবটের দল। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জানিয়েছেন, মূক ও বধির ওই নাবালককে উদ্ধার করতে গুজরাতের সুরত থেকে ওই বিশেষ দলটি আনা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ৮০ ফুট গভীর ওই পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে ১১ বছরের রাহুল সাহুকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য সুরতের ওই দলটিকে কাজে লাগানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গুজরাতের বাসিন্দা মহেশ আহির টুইট করে জানিয়েছিলেন যে কুয়োয় উদ্ধারকাজের জন্য বিশেষ রোবট তৈরি করেছেন তিনি। রাহুলের উদ্ধারেও যা কাজে আসতে পারে। এর পরই মহেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছত্তীসগঢ় সরকার। তড়িঘড়ি আনা হয় ওই রোবটের দলটি। টুইট করে উদ্ধারকাজের কথা জানিয়েছেন বাঘেল। তিনি লিখেছেন, ‘রাহুলকে উদ্ধারকাজে আমরা রোবটের সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করছি। (গুজরাতের) সুরতের রোবট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
যদিও রাহুলের উদ্ধারকাজে বাধার সৃষ্টি করেছে একটি বিশাল আকারে পাথরখণ্ড। যার জেরে কুয়োর মধ্যে টানেল কেটে এগোতে বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। ড্রিল মেশিনের সাহায্যে ওই পাথরটির অংশ কেটে এগোনোর চেষ্টায় রয়েছে তারা। তবে ড্রিল মেশিনের অপ্রতুলতায় উদ্ধারকাজ খানিকটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। রাহুলকে উদ্ধারে আরও ১০-১৫ ঘণ্টা লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ জাঞ্জগীর-চাম্পা জেলার পিহরিদ গ্রামে নিজের বাড়ির পিছনে ওই পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে যায় রাহুল। তার পর থেকে জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)-সহ পুলিশ-প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজ চলাকালীন একটি পাইপের মাধ্যমে রাহুলকে শুকনো খাবার এবং অক্সিজেন দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন।