Gyanvapi Case

জ্ঞানবাপীর ওজুখানার ‘সিল’ খোলা হোক, সমীক্ষা করুক এএসআই, শীর্ষ আদালতে আবেদন হিন্দু পক্ষের

এর আগে শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছিল, বারাণসী জেলা আদালতে জমা দেওয়া এএসআই রিপোর্ট অনুযায়ী, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের কাঠামোর নীচে ‘বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব’ ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:০০
Share:

জ্ঞানবাপী মসজিদ। ছবি: পিটিআই ।

জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার ‘সিল’ আবার খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল হিন্দু পক্ষ। সেই জলাধারে ‘শিবলিঙ্গ’ (মতান্তরে ফোয়ারা)-এর অস্তিত্ব মেলার পরে ২০২২ সালে বারাণসীর নিম্ন আদালত সেটি ‘সিল’ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এখন আবার সেই সিল খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হিন্দু পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

Advertisement

হিন্দু পক্ষের আবেদন, ‘শিবলিঙ্গের’ ক্ষতি না করে ওজুখানাতে একটি বিস্তারিত সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক ভারতীয় পুরতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)-কে। এর আগে শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছিল, বারাণসী জেলা আদালতে জমা দেওয়া এএসআই রিপোর্ট অনুযায়ী বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের কাঠামোর নীচে ‘বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব’ ছিল। এএসআই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হিন্দু পক্ষের দাবি, মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব ১৬৬৯ সালের ২ নভেম্বর মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের ফরমান জারি করেছিলেন। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন জানান, সেই ফরমান সংক্রান্ত শিলালিপির সন্ধান মিলেছে সমীক্ষায়। রিপোর্টে ‘হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব’ সম্পর্কে এ ধরনের মোট ৩২টি প্রমাণ মিলেছে বলে তাঁর দাবি। তিনি দাবি করেছেন, হিন্দু মন্দির ভাঙার চেষ্টার কথা রয়েছে এএসআই রিপোর্টে। তাঁর কথায়, ‘‘এএসআই-এর রিপোর্ট বলছে, মসজিদ তৈরির সময় কিছু বদল আনা হয়েছিল কাঠামোয়। সামান্য বদল এনে মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কাঠামো তৈরি করতে হিন্দু মন্দিরের পিলারের চরিত্রে সামান্য বদল আনা হয়েছিল।’’ তাই এ বার জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার সিল খুলে দিয়ে সেখানেও সমীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানাল হিন্দু পক্ষ।

এর আগে, ওজুখানার ‘শিবলিঙ্গে’ হিন্দু পক্ষের তরফে ‘সেবা পূজা’ করার অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে মসজিদ পরিচালনাকারী অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া কমিটিকে জ্ঞানবাপী মসজিদ অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে এবং মূল কাঠামোটি হিন্দু পক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে আবেদন জানানো হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement