সন্তানকে কৃষ্ণের সাজে সাজাচ্ছেন মুসলিম মা। — ফাইল চিত্র।
বছরের পর বছর জন্মাষ্টমী উদ্যাপনে শামিল হয় এই স্কুল। ১০০ বছরের পুরনো একটি দোলনায় দোলানো হয় গোপালকে। উৎসবে মাতে স্কুলের পড়ুয়ারা। এমনকি সংখ্যালঘুরাও। বাকি সব ছাত্র-ছাত্রীদের মতো মুসলিম পড়ুয়ারাও জন্মাষ্টমীর দিন কৃষ্ণ বা রাধা সেজে স্কুলে আসে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে কর্নাটকের ধারওয়াড় জেলার সরকারি মডেল এক্সপেরিমেন্টাল প্রাথমিক স্কুলে ঘটে সর্বধর্ম সমন্বয়।
ধারওয়াড়ের এই স্কুলে রয়েছে একটি ১০০ বছরের পুরনো দোলনা। জন্মাষ্টমীর দিন সেই দোলনায় দোলানো হয় গোপালকে। উৎসবে যোগ দেন শিক্ষক, পড়ুয়া থেকে অভিভাবিকারাও। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের মায়েরাও কিন্তু বাদ যান না। প্রথম থেকে অষ্ঠম শ্রেণিতে ছাত্রীর সংখ্যা ৩২০। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মুসলিম। তারাও শামিল হন উদ্যাপনে। মুসলিম পড়ুয়াদের মায়েরাও সন্তানদের রাধা বা কৃষ্ণ সাজিয়ে স্কুলে নিয়ে আসেন।
জন্মাষ্টমীর দিন পড়ুয়াদের শ্রীকৃষ্ণের গল্প শোনানো হয়। গান, নাচ-সহ সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দইয়ের হাঁড়ি ভাঙার প্রতিযোগিতাও থাকে। আর সমস্ত অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহণ করে মুসলিম পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবিকারা।