এ বার হিজাব-বিতর্ক কেরলের স্কুলে। —ফাইল চিত্র।
হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ার জন্য ক্লাসে ঢুকতে পারেনি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এমনই অভিযোগে তোলপাড় কেরলের কোঝিকোড়। সংশ্লিষ্ট স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছে স্টুডেন্টস্ ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া (এসআইও) এবং মুসলিম স্টুডেন্টস্ ফেডারেশন (এমএসএফ)।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে হিজাব পরে যায়। অভিযোগ, তাকে ক্লাস করতে দেননি কোঝিকোড়ের প্রভিডেন্স গার্লস্ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর পর শুরু হয় বিতর্ক। প্রথমে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের আপত্তির বিষয়টি ছাত্রীর বাবা-মাকে জানিয়েছেন। অভিভাবকরা উল্টে এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু তার পরও হিজাব পরে স্কুলে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।
এ নিয়ে সোমবার ওই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে মুসলিম সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, স্কুলের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাজ্যের স্কুল দফতরকে পদক্ষেপ করতে আর্জি জানিয়েছে তারা। অন্য দিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই স্কুলে ছুটে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা স্কুলের সামনে ব্যারিকেড করে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে একই কারণে আলোড়ন হয়েছে কর্নাটকে। অন্য দিকে, গত কয়েক দিনে ইরান-সহ একাধিক দেশে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন ২২ বছরের তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইরান। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, হিজাববিহীন হওয়ার ‘অপরাধে’ মাহশাকে তুলে নিয়ে যায় ইরানের পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার হয়। তাতেই মৃত্যু হয়েছে মাহশার। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের রাস্তায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে। হিজাবের বিরোধিতায় শ’য়ে শ’য়ে মহিলা বিক্ষোভকারী গর্জে উঠেছেন অভিনব প্রতিবাদে। তাঁদের কেউ মাথা কামিয়ে ফেলেছেন। আবার এই বিক্ষোভ রোধ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে ৫০ জনের বেশি প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে।