ছবি: পিটিআই।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে আগামী রবিবার শপথ নেবেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। মঙ্গলবার রাঁচীতে জেএমএম বিধায়কেরা তাঁকে দলনেতা নির্বাচিত করে। এর পরে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের নেতা হিসেবে রাতে রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গড়ার দাবি জানান তিনি।
ভোটে বিজেপি সরকার শুধু নয়, জামশেদপুর-পূর্বে হেরে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও। বিজেপির ঝুলিতে এ বার ২৫টি আসন। গত বারের চেয়ে ১২ কম। বিরোধী জোটে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে। দেশ জুড়ে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভের আবহে ঝাড়খণ্ডের এই জয় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এ দিন দিল্লিতে বলেছেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে এই রায়ের মাধ্যমে জনতা জাত-পাত ও ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভাজিত করার চেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদও গুয়াহাটিতে বলেন, ‘‘নয়া নাগরিকত্ব আইনের কারণেই ঝাড়খণ্ডে বিজেপি হেরেছে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের পরে এ বার গোটা ভারতকে বিজেপি-মুক্ত করার সময় এসেছে।’’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কটাক্ষ, ‘‘সিএএ বিজেপির হিন্দু ভোট বাড়িয়ে দেবে, ভেবেছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের শ্রমিক-আদিবাসীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’
আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সনিয়া। শপথে সনিয়া ও রাহুল গাঁধী আর প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আমন্ত্রণ জানাবেন হেমন্ত। সূত্রের খবর, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারে কংগ্রেস। আরজেডির একমাত্র বিধায়কও মন্ত্রী হতে পারেন। এই তিন দল ছাড়াও জোটকে সমর্থন করতে চলেছে পৃথক ভাবে লড়ে তিনটি আসন পাওয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডির জেভিএম। হেমন্তের দলের মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য রাঁচী থেকে ফোনে বলেন, ‘‘বাবুলাল মরান্ডি আমাদের জোটকে সমর্থন করেছেন। সমর্থন রয়েছে সিপিআই(এম-এল, লিবারেশন)-এর এক বিধায়কেরও।’’ সব মিলিয়ে ৮১ আসনের বিধানসভায় ৫০ জনেরও বেশি বিধায়কের সমর্থন পেয়ে সরকার গড়ছেন হেমন্ত সোরেন।