ভারী বৃষ্টিতে জল বেড়েছে বিপাশা নদীতে। ছবি: পিটিআই।
হিমাচল প্রদেশে আবার বর্ষার দাপট শুরু হয়েছে। গত জুন মাস থেকে এই পাহাড়ি রাজ্যটি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। মাঝে বৃষ্টি কিছুটা কমেছিল। কিন্তু অগস্টে আবার পুরনো চেহারায় ফিরেছে বর্ষা। গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে হিমাচলের একাধিক এলাকায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী বেশ কয়েক দিন আবহাওয়ার উন্নতি হবে না। বরং বাড়তে পারে বৃষ্টির দাপট। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে একাধিক শহরে। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে।
শনিবার হিমাচলে দিনভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। একাধিক রাস্তায় ধস নেমেছে। রাস্তা ধসে এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। ফলে হিমাচলের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাজ্য জুড়ে অন্তত ৩০২টি রাস্তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। ওই রাস্তায় মেরামতির কাজ চলছে। তবে বৃষ্টি না থামায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৭ অগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে হিমাচলে।
মান্ডি-কুলু জাতীয় সড়কে ধস নেমে কুলু-মানালি এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রাস্তাগুলিতেও জল জমে যাতায়াতের অন্তরায় তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি নদীগুলির জল ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কাও।
বৃষ্টিতে ধসের কারণে হিমাচল রোডওয়েস ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (এইচআরটিসি) একটি বাস শনিবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মান্ডি-শিমলা মহাসড়কের উপর রাস্তার একটি অংশ আচমকা নীচের দিকে বসে যায়। বাসের ১২ জন যাত্রী এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তবে ঠিক সময়ে বাসটিকে থামাতে পেরেছিলেন চালক। তাই অনেক যাত্রীর প্রাণ বেঁচেছে। নিয়ন্ত্রণ হারালে খাদে গড়িয়ে পড়তে পারত বাসটি। সে ক্ষেত্রে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
স্থানীয় প্রশাসন আগামী কয়েক দিন রাজ্যের বাসিন্দাদের যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে। বৃষ্টি এবং ধসের পাশাপাশি যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে ঘন কুয়াশায়। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শনিবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে অনেক গাড়িকে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ জুন থেকে হিমাচল প্রদেশে বর্ষার কারণে ২৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।