(বাঁ দিকে) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডু (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুরের বাংলা বিভাগের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। তদন্তে কী কী পাওয়া গেল, তার রিপোর্টও জানতে চেয়েছে তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন জানিয়েছে, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুতে হস্টেলের কয়েক জন আবাসিকের কিছু কার্যকলাপ দায়ী বলেও শোনা যাচ্ছে। ওই আবাসিকদের কেউ কেউ আবার বেআইনি ভাবে হস্টেলে থাকেন। কমিশন এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাঁকে কমিশনের তরফে একটি চিঠি দিয়ে উপযুক্ত তদন্তের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে যে পদক্ষেপ উচিত বলে রাজ্যপালের মনে হয়, তা-ও করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্তে কী মিলল, তার রিপোর্ট জানতে চেয়েছে কমিশন।
পাশাপাশি, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় শিশু সুরক্ষা কমিশন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও একটি চিঠি দিয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে পুলিশ, তার রিপোর্ট দেখতে চেয়েছে কমিশন। তাদের প্রশ্ন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেলে এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা কী ভাবে ঘটল? যাদবপুরের হস্টেলে কোন কোন আবাসিক বেআইনি ভাবে থাকেন, তাদের নামের সম্পূর্ণ তালিকা চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। কেন তাঁরা বেআইনি ভাবে হস্টেলে থাকছেন, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে এই তথ্য সম্বলিত একটি রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
কমিশনের তরফে হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে চাওয়া হয়েছে। তা থেকে কী তথ্য জানা গিয়েছে, পুলিশকে তা জানাতে বলেছে কমিশন।
বুধবার রাতে যাদবপুরের হস্টেলের এ-২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান স্বপ্নদীপ। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। নদিয়া থেকে যাদবপুরে বাংলা পড়তে এসেছিলেন। তিন দিন মাত্র হস্টেলে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে হস্টেলের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার।