(বাঁ দিকে) নাচের শিক্ষিকা নব্যশ্রী। (ডান দিকে) অভিযুক্ত স্বামী। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাঁর স্বামীই যে সেই সংশয়ের কারণ হতে পারে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করে এক বন্ধুকে নিজের বাড়িতে ডেকে এনেছিলেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা নব্যশ্রী। কিন্তু বুধবার সকালে ঘরের ভিতরে চেয়ারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সারা শরীরে অত্যাচারের ছাপ ছিল স্পষ্ট। বছর পঁচিশের নাচের শিক্ষিকার মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর কেঙ্গেরি উপানগর এলাকায় স্বামী কিরণের সঙ্গে থাকতেন নব্যশ্রী। তাঁর বান্ধবী ঐশ্বর্যার দাবি, গত ২৭ অগস্ট সকালে নব্যশ্রী একটি মেসেজ করেছিলেন। তাঁকে বাড়িতে আসতে বলেন। নব্যশ্রীর মেসেজ পেয়ে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। তাঁর আরও দাবি, নব্যশ্রীকে বিধ্বস্ত লাগছিল। ঘরে এবং বাইরে অত্যন্ত চাপের মধ্যে আছেন বলে বান্ধবীকে জানিয়েছিলেন নব্যশ্রী। প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশও করেছিলেন।
শুধু ঐশ্বর্যা নয়, অনিল নামে আরও এক বন্ধুকে নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ২৭ অগস্ট সন্ধ্যায় নব্যশ্রীর সঙ্গে দেখা করেন ঐশ্বর্যা এবং অনিল। তার পর তাঁরা নব্যশ্রীকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শও দেন। তবে সেদিনকার মতো আলোচনা সেখানেই থেমে গিয়েছিল। ঐশ্বর্যার দাবি, অনিল বাড়ি চলে যান। তিনি নব্যশ্রীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন। রাতে দু’জনে আলাদা আলাদা ঘরে শুয়েছিলেন। ঐশ্বর্যা জানিয়েছেন, তিনি মদ্যপান করে শুয়েছিলেন। সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখেন পাশের ঘরে চেয়ারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন নব্যশ্রী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পড়শিদের ডাকেন। খবর দেন পুলিশেও। নব্যশ্রীর স্বামী কিরণের বিরুদ্ধেও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মেরে ফেলার আগে অত্যাচার করা হয়েছিল নব্যশ্রীর উপর। কখন ঘটনাটি ঘটেছে, রাতে ঘরে কেউ ঢুকেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও ঐশ্বর্যার অভিযোগের ভিত্তিতে নব্যশ্রীর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।