Gangster

ঘটক অ্যাপে পরিচয়, বিয়ের পর স্বামী জানলেন স্ত্রী দুর্ধর্ষ গ্যাংস্টার, বিয়ে বাতিল চেয়ে আদালতে

ঘটক অ্যাপের মাধ্যমে দু’জনের পরিচয়। তার পর বিয়ে। বিয়ের ছ’মাস বাদে স্ত্রী বাপের বাড়ি যান কিছু কাজের কথা বলে। তার পর থেকেই আর পাত্তা নেই তাঁর। পরে জানা যায়, তিনি একজন দাগী অপরাধী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫৫
Share:

বিয়ে করার বেশ কিছু দিন পর স্বামী জানতে পারলেন স্ত্রী একজন ফেরারি অপরাধী। — প্রতীকী ছবি।

দু’জনের পরিচয় ঘটক অ্যাপে। সেখানেই আলাপ গড়ায় প্রণয়ে। শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়া। ভালই চলছিল প্রথম ছ’মাস। কিন্তু তার পরেই পর্দাফাঁস হল রহস্যের। স্বামী জানতে পারলেন, স্ত্রী একজন দাগী গ্যাংস্টার। অসম বিধানসভার ভিতর থেকে বিলাসবহুল গাড়ি চুরির মামলায় পুলিশ খুঁজছে। বর্তমানে আদালতে গিয়ে বিয়ে বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন গুজরাতের পোরবন্দরের বাসিন্দা বিমল কারিয়া।

Advertisement

বিয়ে করবেন বলে ঘটক অ্যাপে পাতা খুলেছিলেন পোরবন্দরের বিমল। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় ভবিষ্যতের স্ত্রী গুয়াহাটির রিতা দাসের। দু’জনেরই মনের মিল হওয়ায় দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। রিতা জানিয়েছিলেন, তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছিল বলে বিয়ের কাগজপত্রও কিছু নেই। হবু বধূকে সন্দেহ হয়নি বিমলের। আমদাবাদে যুগলের বিয়ে হয়ে যায় ধুমধাম করে। মহা খুশি যুগল। এরই মধ্যে এক দিন রিতার কাছে একটি ফোন আসে। বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলার পর রিতা ফোন রাখেন। বিমলকে জানান, দেশের বাড়ি অসমে জমিজমা নিয়ে কিছু গোলমাল হয়েছে। তা ঠিক করতে তাঁকে গুয়াহাটি যেতে হবে। রিতা আরও দাবি করেন, তাঁর মা ফোন করে তাঁকে আসতে বলছেন। অবিশ্বাসের কোনও কারণ দেখেননি স্বামী বিমল। স্ত্রী রিতাকে অসম পাঠিয়ে দেন তিনি। সেই শেষ সাক্ষাৎ। তার পর কার্যত কর্পূরের মতো উবে যান রিতা।

স্ত্রী সম্পর্কে খোঁজখবর করতে গিয়ে বিমল জানতে পারেন রিতার অতীত। তাতেই রাতের ঘুম উড়ে যায় বিমলের। জানা যায়, রিতার আসল নাম রেখা চৌহান। ২০০৭ সালে তাঁর বিয়ে হয় অনিল চৌহানের সঙ্গে। অসম বিধানসভার ভিতর থেকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি চুরির ঘটনায় ২০১৫ নাগাদ জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই থেকে অনিলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি।

Advertisement

এ সব জানার পর বিমল ছোটেন পুলিশের কাছে। পুলিশের মাধ্যমে তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, তাঁদের বিয়েকে যেন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় যে ছবি ছাপা হয়েছিল তা অসমের প্রাক্তন বিধায়ক রুমি নাথের। রুমির সঙ্গে এই খবরের আদৌ কোনও যোগাযোগ নেই। বিষয়টি গোচরে আসামাত্র আমরা তাঁর ছবিটি সরিয়ে দিয়েছি। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত। আমরা রুমি এবং তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement