PFI

সন্ত্রাসের খোঁজে অভিযানে এনআইএ, রাজস্থানের চার জেলার সাতটি ঠিকানায় হানা তদন্তকারী দলের

সিএএ বিরোধী আন্দোলন পর্বে দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পিএফআই-এর বিরুদ্ধে। গত বছর নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে হিংসাতেও তাদের নাম উঠে এসেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:০৩
Share:

রাজস্থানের সাত ঠিকানায় নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই-এর সদস্যদের খোঁজে এনআইএ অভিযান। প্রতীকী ছবি।

হিংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত কট্টরপন্থী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)-এর বিরুদ্ধে রাজস্থান জুড়ে অভিযান শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। শনিবার ভোর থেকে এ পর্যন্ত মরুরাজ্যের ৭টি ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে কয়েক জনকে আটক করার পাশাপাশি, বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে।

Advertisement

এনআইএ মুখপাত্র শনিবার দুপুরে জানান, কোটা জেলার তিনটি এবং সওয়াই মাধোপুর, ভিলওয়াড়া, বুঁদি এবং জয়পুরের একটি ঠিকানায় অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘একটি মামলার ঘটনায় নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ওই আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ঠিকানাগুলিতে অভিযান চালানো হয়েছে।’’ ওই মামলায় রাজস্থানের বারণ জেলার বাসিন্দা সাদিক শরাফ এবং কোটা জেলার পিএফআই নেতা মোহাম্মদ আসিফ জড়িত বলে জানান এনআইএ মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় রাজনৈতিক সংগঠন পিএফআই করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে এনআইএ-র অভিযান চলছে।

Advertisement

২০১৯ সালে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদের সূত্রে দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পিএফআই-এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিজেপি মুখপাত্র (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তরপ্রদেশে হিংসার ‘মূল ষড়যন্ত্রী’ হিসাবে পিএফআই-কে চিহ্নিত করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অন্য দিকে, বছর দু’য়েক আগে বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় এসডিপিআই এবং ‘আল হিন্দ’-এর মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের নাম উঠে এসেছিল।

(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময়, ‘সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া’ (এসডিপিআই)-কে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ বলে লেখা হয়েছিল। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। গোচরে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি সংশোধন করা হয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement