চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা না করে উল্টো পথে হেঁটেছেন গুজরাতের বাসিন্দা ভরত ভানোত। ছবি: সংগৃহীত।
আঁধার নামলেই চিতাবাঘের হামলার আতঙ্ক চেপে ধরে। চিতাবাঘের হামলা থেকে বাঁচতে প্রতি রাতে তাই নিজেকেই খাঁচাবন্দি করে ফেলেন গুজরাতের এক কৃষক। মাস ছয়েক ধরে সে নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি বলে দাবি তাঁর।
বসতি এলাকায় বন্য জন্তুদের আনাগোনা হলে হামলার ভয়ে সাধারণত তাদের খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা করেন বাসিন্দারা। তবে গুজরাতের আরাবল্লী জেলার ভটকোটা গ্রামের বাসিন্দা ভরত ভানোত উল্টো পথে হেঁটেছেন। চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দি করার বদলে নিজেকেই খাঁচায় ঢুকিয়ে ফেলেন তিনি। ভরত জানিয়েছেন, গত ছ’মাস ধরে সন্ধ্যা হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের খামারে চলে যান। সঙ্গে থাকে কম্বল, লাঠি এবং একটি চপার। সেখানে নিজের তৈরি খাঁচার ভিতরেই রাত কাটে তাঁর। সকাল হলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। ভরতের কথায়, ‘‘৬ মাস আগে এই খামারের কাছে আমাকে একটা চিতাবাঘ আক্রমণ করেছিল। তার পর থেকে প্রতি রাতে খাঁচায় থাকছি। ওই হামলার আগে কেউ বিশ্বাস করেননি যে আমি চিতাবাঘ দেখেছি। তবে এখন যখন বলি, আমাদের গ্রামের মন্দিরের কাছে এক জোড়া চিতাবাঘ তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সকলেই আতঙ্কিত হন।’’
সংবাদমাধ্যমের কাছে ভরত জানিয়েছেন, প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করে লোহার রড এবং পাইপ দিয়ে ওই খাঁচাটি তৈরি করিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘আমার খামারবাড়ি বা নিজেকে বাঁচানোর জন্যই খাঁচায় থাকছি না। চিতাবাঘ দেখলে যাতে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা যায়, সে জন্যই এই বন্দোবস্ত করেছি।’’
ভরতের এই প্রচেষ্টায় সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামের একাংশ। দিলীপ ভানোত নামে এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, চিতাবাঘেরা সাধারণত সন্ধ্যার পর এলাকায় ঢুকে তাঁদের গ্রামের ছাগল বা পোষা কুকুরের উপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, ‘‘চিতাবাঘ তো আমাদের ছেলেমেয়েদের উপরেও আক্রমণ করতে পারে। ভরতভাই নজর রাখায় এলাকার গবাদি পশুদের প্রাণরক্ষা হচ্ছে। আমরাও ঘরে তালাবন্ধ করে থাকছি।’’