সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুসলিম মহিলাদের ভোটের টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে নানা প্রশ্ন করেছেন ধর্মগুরু। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
মুসলমান মহিলাদের ভোটের টিকিট দেওয়া ইসলাম ধর্মের বিরোধী বলে দাবি করলেন গুজরাতের এক ধর্মগুরু। তাঁর অভিযোগ, মহিলাদের ভোটের টিকিট দিয়ে ইসলাম ধর্মকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গুজরাতের আমদাবাদের জামা মসজিদের শাহি ইমাম ওই ধর্মগুরু। নাম সাব্বির আহমেদ সিদ্দিকি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘যাঁরা মুসলিম মহিলাদের ভোটে দাঁড়ানোর বা ভোটের প্রার্থী হওয়ার টিকিট দেন, তাঁরা আসলে ইসলাম ধর্মের বিরোধী। তাঁরা আসলে এই ধর্মকে এ ভাবে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’’ এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলিকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘প্রার্থী হওয়ার জন্য কি পুরুষদের পাওয়া যাচ্ছে না যে মহিলাদের টিকিট বিতরণ করতে হচ্ছে?’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট। বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশ। এর মধ্যে স্বয়ং মোদীর রাজ্যের শাহি ইমামের মহিলাদের ভোটের টিকিট পাওয়া নিয়ে এমন মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইমাম অবশ্য কোনও বিতর্কের পরোয়া না করেই জানিয়েছেন, মহিলাদের ভোটের টিকিট দিলে ইসলাম ধর্ম দুর্বল হবে কারণ, মহিলারা যদি বিধায়ক, সাংসদ বা পুরসভার কাউন্সিলর হয়ে যান তবে তাঁরা মেয়েদের হিজাব পরাবেন কী ভাবে? ইমামের প্রশ্ন, ‘‘কর্নাটকের হিজাব আন্দোলনের কী হবে তখন? আমরা যদি সরকারের কাছে মেয়েদের হিজাব পরানোর কথা বলি, তখন তো বলা হবে, ‘আপনাদের মেয়েরা পার্লামেন্টে বসছেন, বিধানসভায় বসছেন, পুরবোর্ডের সদস্য হচ্ছেন!’ তখন আমরা হিজাব সংস্কৃতি বাঁচাবে কী ভাবে?’’
তবে রাজনৈতিক দলগুলি কেন এ ভাবে টিকিট বিতরণ করছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন, ‘‘আসলে ওরা ভাবছে মহিলারাই এখন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে তা-ই মহিলাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে গোটা পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ ছাড়া মহিলাদের ভোটের টিকিট দেওয়ার নেপথ্যে আর কোনও কারণ তো খুঁজে পাচ্ছি না আমি’’