এক শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত জেলবন্দি আসারাম। — ফাইল ছবি।
আশ্রমে শিষ্যাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপু। সোমবার গুজরাতের গান্ধীনগরের এক আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০১৩ সালে এই ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল আসারামের বিরুদ্ধে।
দায়রা বিচারক ডিকে সোনি সোমবার ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করেন আসারামকে। যদিও সাজা ঘোষণা করেননি। মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা হবে। প্রমাণের অভাবে আসারামের স্ত্রী-সহ ৬জনকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত।
আসারামের বিরুদ্ধে আমদাবাদের চাঁদখেরা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই এফআইআরে বলা হয়েছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ওই শিষ্যাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন আসারাম। আমদাবাদ শহরের উপকণ্ঠে তাঁরই আশ্রমে থাকতেন নির্যাতিতা। সোমবার সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ২(সি) (ধর্ষণ), ৩৭৭ (অস্বাভাবিক অপরাধ) ধারায় আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বেআইনি ভাবে আটকে রাখার অভিযোগেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’’
অন্য একটি ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন হয়েছে আসারামের। তিনি এখন জোধপুর জেলে রয়েছেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে আসারাম এবং ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন সুরতের এক মহিলা। অভিযোগ করেন, তাঁকে জোর করে আটকেও রাখা হয়েছিল আশ্রমে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। বিচার চলাকালীন এক অভিযুক্ত মারা গিয়েছেন। এ বার আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বাকি ৬ জন খালাস পেয়েছেন।