মন্নতের বারান্দাই জুগিয়েছে অনুপ্রেরণা, অকপট শাহরুখ। ফাইল চিত্র।
৪ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ২০২৩-এ রুপোলি পর্দায় ফিরলেন শাহরুখ খান। শেষ ছবি ‘জ়িরো’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালের শেষের দিকে। বক্স অফিসে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল ছবি। দর্শকের মনেও দাগ কাটতে পারেনি ছবি। বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। তবে কি এখানেই ইতি তারকা জমানার? উঠেছিল প্রশ্ন। এমনকি, দেশের তথাকথিত ‘সুপারস্টার’দের ভবিষ্যৎ নিয়েও সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন তাঁদের অনুরাগী ও সমালোচকরা। তার পর ৪ বছরের বিরতি। কোভিড অতিমারি ও লকডাউন কাটিয়ে অবশেষে বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন। গত ৪ বছরের কথা মনে করে কিছুটা আবেগমথিত বলিউডের ‘বাদশা’। জানালেন মন্নতে একটি বাথরুম আছে যেটায় তিনি ঢুকেছেন মানেই সকলে জানেন, তিনি কাঁদছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটেছে সেখানেই।
ভগবান আমাকে একটা বারান্দা দিয়েছেন, আমি আমার দুঃখের সময়েও সেখানে আসি, আনন্দের সময়েও: শাহরুখ ছবি: সংগৃহীত
কোথা থেকে অনুপ্রেরণা পেলেন ফের উঠে দাঁড়ানোর? শাহরুখের কাছে প্রশ্ন সঞ্চালকের। কিছুটা থেমে মাইক্রোফোন হাতে তুলে নিলেন বাদশা। তার পর এল প্রশ্নে উত্তর। ‘‘আমাদের বাড়িতে বড়রা বলেন, যখন তুমি ব্যর্থ হবে, সব সময় তাঁদের কাছে যাবে যাঁরা তোমাকে নিঃশর্তে ভালবাসে। আমি বড়দের সে কথাই মেনে চলি, আমি বার বার আমার দর্শকের কাছে ফিরে আসি’’, অকপট শাহরুখ। ‘‘আমিও ভেঙে পড়ি, আমারও মন খারাপ হয়, কিন্তু ভগবান আমাকে একটা বারান্দা দিয়েছেন, আমি আমার দুঃখের সময়েও সেখানে আসি, আনন্দের সময়েও’’, স্বীকারোক্তি বলিউডের ‘বাদশা’র। শুধু সাফল্যে নয়, ব্যর্থতাতেও দর্শক তাঁকে ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন, দাবি শাহরুখের। কঠিন সময়ের পরে ফের বড় পর্দায় ফেরার সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন দর্শকই, জানান বিশ্ববিখ্যাত বলিউড তারকা।
২০১৮-এর পরে ২০২৩-এ রাজকীয় প্রত্যাবর্তন। কতটা কঠিন ছিল এত দিন রুপোলি পর্দায় থেকে দূরে থাকা? সঞ্চালকের প্রশ্নের সেই শাহরুখোচিত জবাব, ‘‘এই ৪ দিন গত ৪ বছরকে ভুলিয়ে দিয়েছে।’’ কী ভাবে কাটিয়েছেন এই ৪ বছর? শাহরুখকে প্রশ্ন করেন সঞ্চালক। উত্তর দিতে গিয়ে শাহরুখের গলায় সেই চেনা হালকা মেজাজ, ‘‘আমি তো পেশা বদল করব বলে রান্নাবান্নাও শিখে নিয়েছিলাম!’’ অতিমারি ও লকডাউনের ছুটিতে চুটিয়ে সময় কাটিয়েছেন ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। রান্না করেছেন। এমনকি, ‘পাঠান’ ছবির সেটেও কলাকুশলীদের খাইয়েছেন নিজের হাতের রান্না। তাঁর হাতে বানানো পিৎজার তারিফ করলেন ছবির পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দও।