গুজরাতের মোরবীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি পিটিআই।
তাঁদের চোখেমুখে আতঙ্কের রেশ লেগে রয়েছে। ওই বিভীষিকা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না গুজরাতের মোরবীতে সেতু বিপর্যয় চাক্ষুষ করা সেই প্রত্যক্ষদর্শীরা। রবিবার সন্ধ্যায় আচমকা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন ঝুলন্ত সেতু। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বজন হারিয়ে শোকে পাথর বহু মানুষ। সেতু ভেঙে পড়ার পর প্রাণ বাঁচাতে কেউ কেউ নদীতে সাঁতরে ডাঙায় ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। আবার কেউ ভাঙা সেতুর রেলিং ধরে ঝুলছিলেন। এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেছেন ওঁরা। বিপর্যয়ের পরের দিন সেই মর্মান্তিক স্মৃতিই তুলে ধরেছেন তাঁদের কেউ কেউ।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘চোখের সামনে কয়েক মুহূর্তে দেখলাম সেতুটি ভেঙে পড়ল।’’ সারা রাত জেগে উদ্ধারকাজে তদারকি করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এক জন মহিলা আমায় তাঁর মেয়ের ছবি দেখিয়ে বললেন, তাকে আমি উদ্ধার করতে পারি কি না। কিন্তু বলতে পারিনি যে, তাঁর মেয়ে আর বেঁচে নেই।’’
সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ আমলের তৈরি ওই সেতুতে প্রায় ৫০০ মানুষ ভিড় করেছিলেন। এক প্রত্যক্ষদর্শীও দাবি করেছেন, সেতুতে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। সেতু ভেঙে পড়ার পরই বহু মানুষ মাচ্ছু নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাঁতরে ডাঙায় ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অনেকেই সাঁতার কাটতে জানতেন না, তাঁদের অনেককে টেনে ডাঙায় তুলেছেন উদ্ধারকারীরা। তাঁদের কথায়, চোখ বন্ধ করলেই ওই ভয়াবহ মূহূর্তের ছবি ভেসে আসছে।
মঙ্গলবার মোরবী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন তিনি। এই ঘটনায় গভীর ভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন মোদী। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।