ভূপৎ ভয়ানি সরকারি ভাবে বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। — ফাইল ছবি।
আম আদমি পার্টি ছেড়ে সত্যিই কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ভূপৎ ভয়ানি? সম্প্রতি তেমনটাই দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যম। ভয়ানি সরকারি ভাবে বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই নিয়ে তিনি গুজরাতের মানুষের মত জানবেন। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীওয়াল যদিও এসব জল্পনায় জল ঢেলেছেন। বলেছেন, ‘‘তাঁর কোনও হিরেই বিক্রির জন্য নয়।’’
টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভয়ানি বলেন, ‘‘আমি এখনও বিজেপিতে যোগ দিইনি। তবে মানুষকে জিজ্ঞেস করব যে, আমি আদৌ বিজেপিতে যোগ দেব কি না।’’ গত বৃহস্পতিবারই ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যেই কেন এ সব ভাবছেন, তার যুক্তিও দিয়েছেন ভয়ানি। জানিয়েছেন, গুজরাতে বিরোধীরা বড়ই দুর্বল। বিরোধীদের বেঞ্চে বসে তাঁর কেন্দ্রের মানুষ জনের জন্য কাজ করা সম্ভব হবে না। সে কারণেই বিজেপিতে যোগ দিতে চান।
ভয়ানির কথায়, ‘‘আমার কেন্দ্রে কৃষকদের সংখ্যাই বেশি। তাঁদের সেচ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে আমাকে। এলাকায় অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁদেরটাও দেখতে হবে। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে কোনও কাজ করা যাবে না। সরকারের সামনে নিজের দাবিদাওয়া রেখেছি। ইতিবাচক জবাব পেয়েছি। এ বার মানুষ এবং নেতাদের সঙ্গে কথা বলব।’’
প্রসঙ্গত, আগে বিজেপিতে ছিলেন ভয়ানি। বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে আপে যোগ দেন। জুনাগড় জেলার বিসাবাদার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর ‘সুসম্পর্ক’। রবিবার তিনি স্পষ্টই সে কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে রেকর্ড জনাদেশ দিয়েছেন গুজরাতের মানুষ। আমি শ্রদ্ধা করি। আগে বিজেপিতে ছিলাম, তাই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে আমার।’’
সংবাদ মাধ্যমের দাবি, আপের কয়েক জন বিধায়কের পাশাপাশি বায়াড়, ধনেরা এবং বাঘোদিয়ার নির্দল বিধায়করাও যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। সেই নিয়ে আলোচনা চলছে। গুজরাতে ১৮২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৫৬টি আসন পেয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে ১৭টি আসন। বিজেপির এ বারের জয় কংগ্রেসের ১৯৮৫ সালের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। ওই বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গুজরাতে ১৪২টি আসন পেয়েছিল।