সদ্যোজাতর প্রতীকী ছবি।
ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তিনদিনের এক শিশুকন্যা উদ্ধার হল গুজরাতের রাজকোট জেলার একটি গ্রামে। পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই সদ্যোজাতকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বর্তমানে ওই শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার সেখানকার এক দল ছেলে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল মাহিক ও থেবাচাদা গ্রামের মধ্যবর্তী মাঠে। সেখানে গিয়ে তারা শিশুর কান্নার আওয়াজ পান। সেই আওয়াজের দিকে যেতেই দেখে, একটি কুকুর মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে শিশুটিকে। তখন তারা কুকুরটিকে ঢিল মারা শুরু করে। বাচ্চাটিকে ফেলে পালিয়ে যায় কুকুরটি।
তার পর বাচ্চাটিকে তুলতেই তারা দেখে বাচ্চাটির পিঠের দিকে রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। এই ছুরিকাঘাতের চিহ্নই স্পষ্ট করে শুধু ফেলে যাওয়া নয়, জন্মের পর মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল ওই শিশুটিকে।
আরও পড়ুন: ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভারকে বার বার হর্ন বাজাতে বলছেন পথচারীরা! দেখুন কেন
বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে সরকারি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক দিব্য ব্রার এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘যখন তাকে আনা হয়েছিল, তখন তার পিঠে প্রায় ২০টি ছুরি আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা দেখলাম তার মুখে ভর্তি মাটি। শ্বাসও নিতে পারছিল না ঠিক করে। কিন্তু এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।’’
আরও পড়ুন: ‘নরক হয়ে গেল চেনা রাজধানী’