— প্রতীকী ছবি।
টোম্যাটোর মতোই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামও যাতে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে না যায়, তা নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের জোগান বৃদ্ধি পাবে, এর ফলে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সম্ভব হবে।
বাজারে পেঁয়াজের দামে এখনও আগুন লাগেনি। তবে সরকারের বিশেষজ্ঞেরা আশঙ্কা করছেন, সেপ্টেম্বরেই পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁতে পারে। সে জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার অঙ্গ হিসাবে শনিবার থেকেই বিদেশে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হল। এ বছরের শেষ দিন পর্যন্ত, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধি জারি থাকবে।
গত সপ্তাহেই বিশেষ কয়েকটি জায়গায় সরকারের বাফার স্টক (মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আগাম পণ্য মজুত রাখা) খালাস করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। এর মাধ্যমে অক্টোবরে নতুন ফলন না ওঠা পর্যন্ত দাম যাতে ধরাছোঁয়ার বাইরে না চলে যায় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা হয়েছিল। বর্তমানে, সরকারের পিএসএফ-এ (দাম স্থিতিশীল রাখতে যে তহবিল তৈরি হয়) ৩ লক্ষ টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, দেশে পেঁয়াজের দামে সামান্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলছে। গত ১০ অগস্টের পেঁয়াজের সর্বভারতীয় দর কেজি প্রতি ২৭.৯০টাকা। যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ২ টাকা বেশি। একেই অশনি সঙ্কেত ধরে নিয়ে রফতানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা কেন্দ্রের।
এমনিতেই টোম্যাটোর দাম নিয়ে নাজেহাল আমজনতা। কোনও প্রক্রিয়াতেই লাল-সোনার দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যাচ্ছে না। সরকারি উদ্যোগে ভর্তুকিযুক্ত দামে টোম্যাটো বিক্রি হলেও তা সামগ্রিক চাহিদার বিচারে নগণ্য। এই প্রেক্ষিতে পেঁয়াজ নিয়েও যাতে মানুষকে সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সে জন্যই রফতানি শুল্কের দাওয়াই।