মাঝপথে থমকে খাজুরাহো-উদয়পুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত।
খাজুরাহো-উদয়পুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন। স্টেশন ছেড়ে এগোনোর পরেই ট্রেনের ইঞ্জিনে ধোঁয়া দেখা যায়। দ্রুত ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে আগুনের কারণে ট্রেন থামিয়ে দেওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার মধ্যপ্রদেশের সিথৌলি স্টেশনে আচমকা থামানো হয় খাজুরাহো-উদয়পুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। গোয়ালিয়র স্টেশন থেকে বেরিয়ে সিথৌলির দিকে যাওয়ার সময়েই ট্রেনটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দমকলে খবর দেন রেল কর্তৃপক্ষ। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। পৌঁছন রেল পুলিশ আধকারিকেরাও। তাঁরা ইঞ্জিনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করেন।
পরে ওই ট্রেনটির ইঞ্জিন বদল করা হয়। নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে গন্তব্যের দিকে আবার রওনা দেয় খাজুরাহো-উদয়পুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। তবে এই ঘটনার জেরে ট্রেনটি দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়েছিল বলে অভিযোগ যাত্রীদের একাংশের। তাঁদের দাবি, দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়।
ঝাঁসির রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, ধোঁয়া বেরোলেও একে আগুন লেগেছে বলা যায় না। ধোঁয়াও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত।
এর আগে শনিবার সকালেই অনুরূপ ভাবে আগুন লাগে মুম্বই-বেঙ্গালুরু উদ্যান এক্সপ্রেসে। বেঙ্গালুরুর সাঙ্গোলি রায়ান্না স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর পর কামরায় কোনও ভাবে আগুন লেগে গিয়েছিল। তবে ট্রেনটি সেই সময় খালি ছিল। যাত্রীরা বেঙ্গালুরুতে নেমে যাওয়ার প্রায় দু’ঘণ্টা পর খালি ট্রেনে আগুন লাগে। ফলে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। যদিও ট্রেনের আগুনের কারণে গোটা স্টেশন ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। অন্য যাত্রীদের মধ্যে যা থেকে আতঙ্ক ছড়ায়।