এন বীরেন সিংহ। ছবি: পিটিআই।
মণিপুরের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ, আসাম রাইফেলস, সেনার সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। চূড়াচাঁদপুর ও মেইতেই এলাকাগুলির সীমানায় গত কালও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বীরেন বলেন, ‘‘হিংসার ঘটনায় সরকার নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকবে না। যার যা দাবি তা আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে হবে।’’ এ দিকে বিজেপির কুকি বিধায়ক পাওলিয়েনলাল হাওকিপ বলেন, বীরেন সিংহ মেইতেই মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে জনজাতিদের ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যের দুর্দশার জন্য তিনিই দায়ী।
তবে হাওকিপ এও স্পষ্ট করে দেন, তিনি দল নয়, শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। উল্লেখ্য হাওকিপ ও বিজেপির সাত বিধায়ক-সহ ১০ কুকি বিধায়ক রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে কুকিদের জন্য পৃথক প্রশাসনের দাবি জানিয়েছেন। আজ চূড়াচাঁদপুরে সরকারি বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরাট প্রতিবাদ মিছিল করেন ছাত্রছাত্রীরা। এ দিকে ইম্ফলে আজ রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোর অদূরে, রাজপথে লুঠ হওয়া অস্ত্র নিয়ে, সম্পূর্ণ সমরসজ্জায় মেইতেই আরাম্বাই টেঙ্গল বাহিনীর ছবি পোস্ট করে কুকিরা দাবি করে, এই ঘটনা রাজ্য নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে আশঙ্কাজনক। এমন ঘটনার পরেও কেন্দ্র মণিপুরে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে ব্যস্ত। তারা রাজ্যের মেইতেই অংশ আগে থেকে আফস্পামুক্ত করে দিয়ে সরকারি অস্ত্র গুণ্ডবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। এ নিয়ে এনআইএ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।