—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের কোনও সরকারি পদাধিকারীকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো যাবে না। এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি আদালত এটাও জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। সেখানে রাজ্যের কোনও পদাধিকারীকে বসানো বা কোনও দায়িত্ব দেওয়ার অর্থ হল গণতন্ত্রের প্রহসন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় ভোট পরিচালনা করার জন্য রাজ্যের আইন সচিবকে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করেছিল গোয়া সরকার। শুক্রবার সেই মামলাটি বিচারপতি রোহিন্টন ফলি নরিম্যান-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ওঠে। তখন বিচারপতি নরিম্যান গোয়া সরকারকে ভর্ৎসনা করে বলেন, “ভারতীয় গণতন্ত্রে নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্রতার সঙ্গে কোনও রকম আপস করা যাবে না।”
একই সঙ্গে বিচারপতি বলেন, “এক সরকারি পদে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ব্যক্তিকে গোয়া সরকার নির্বাচন কমিশন পদে নিয়োগ করল? এটা কখনওই করা যায় না।”
রাজ্যের পাঁচ পুরসভায় ভোট বাতিল করার বিষয়টি নিয়েও শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। পাশাপাশি, শুনানি হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও। গোয়া নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে নোটিস জারি করতে বলেছে আদালত। এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।