গোরখনাথ মন্দির হামলায় দোষী মুর্তজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড। — ফাইল ছবি।
গোরক্ষনাথ মন্দির হামলায় দোষী মুর্তজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড দিল লখনউয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। গত বছর এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন মুর্তজা। পেশায় তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
গত শনিবার গোরক্ষনাথ হামলায় মুর্তজাকে দোষী সাব্যস্ত করে লখনউয়ের বিশেষ আদালত। এফআইআরে বলা হয়েছিল, গত বছর ৩ এপ্রিল জোর করে গোরক্ষনাথ মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন মুর্তজা। তাঁকে বাধা দিলে নিরাপত্তারক্ষীদের ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেন। ঘটনায় আহত হন দু’জন পুলিশ কর্মী। তদন্ত শুরু করে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি, আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ধারায় মুর্তজাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্যই মুর্তজা হামলা চালিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশকর্মীকে আক্রমণের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় তাঁকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছিল।
গত বছর উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরের বাইরে মোতায়েন পুলিশ কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে হামলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্তজা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জানিয়েছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সঙ্গে যোগ ছিল মুর্তজার। জঙ্গি দলের সদস্যদের আর্থিক সাহায্য দিতেন তিনি। জেরায় এই তথ্যই উঠে এসেছিল বলে জানিয়েছেন এডিজি।
মু্র্তজা গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে আইআইটি মুম্বই থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাশ করেন তিনি। এর পর দু’টি সংস্থায় কাজও করেছিলেন। মুর্তজার পরিবারের দাবি, ২০১৭ সালে তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তার পর অনেক চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেছেন। এই কারণে তাঁর দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদও হয়ে যায় মুর্তজার।