কুন্তলের বাড়িতে পাওয়া নথিপত্রের হিসাব চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কুন্তল ঘোষের কাছে কারা স্কুলের চাকরি কিনতে চেয়েছিলেন, তা জানতে চান কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার তিনি সেই পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর জানতে চেয়েছেন। কুন্তলের ফ্ল্যাটে বেশ কিছু টেট পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রের (ওএমআর শিট) প্রতিলিপি এবং অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছিল বলে খবর ছিল ইডি সূত্রে। সোমবার সেই সমস্ত উত্তরপত্র এবং পরীক্ষার হলে ঢোকার অনুমতিপত্রে থাকা পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে ইডিকে তাঁর নির্দেশ, তদন্তকারী সংস্থা চাইলে এই ১৮৯ জনকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সোমবার শাসকদল তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল প্রসঙ্গে এ কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তার আগে এজলাসে কুন্তল প্রসঙ্গ উঠতে আরও অনেক কিছুই বলেন বিচারপতি। একটা সময় তাঁকে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনও বলতে শোনা যায়, ‘‘কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে।’’ পরে কুন্তলকে নাম না করে দালাল বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘কিছু দালাল এখনও চাকরি বিক্রির চেষ্টা করছেন, আর কিছু দালাল তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন।’’
এর পরেই অবশ্য কুন্তলের ফ্ল্যাটে উত্তরপত্র পাওয়া প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘‘যে ১৮৯ জনের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) এবং অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে তাঁদের রোল নম্বর আমি জানতে চাই। ইডির কাছে এই তথ্য আমি জানতে চাইব। ইডিও চাইলে এই ১৮৯ জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে।’’
সোমবার এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা স্বপক্ষ সমর্থনে আদালতে জানান, পর্ষদের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। আমরা পরীক্ষার সময় ওএমআর শিটের প্রতিলিপি (কার্বন কপি) পরীক্ষার্থীদের দিয়েছি। এতে ফলপ্রকাশ হলে তা যাচাই করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এ বার কোনও প্রার্থী যদি সেই প্রতিলিপি অন্য কাউকে দিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি?’’
একই সঙ্গে পর্ষদের আইনজীবী এ কথাও বলেন, ‘‘আমরা অবাক হচ্ছি, এত কঠোর ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়ার পরও এই ধরনের ঘটনা সামনে আসছে। আমাদের তরফে কোনও খামতি রাখা হয়নি।’’