মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা একটি বিবৃতি দিয়ে সংস্থা জানিয়েছে, আমেরিকান সংস্থার সরবরাহ করা ইঞ্জিন খারাপ হওয়ায় এই চরম পদক্ষেপ করতে হয়েছে। — ফাইল ছবি।
তীব্র আর্থিক সঙ্কট। ৩ এবং ৪ মে সমস্ত উড়ান বাতিল করল গো ফার্স্ট। সংস্থার সিইও কৌশিক খোনা জানিয়েছেন, দিল্লির ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালে সংস্থা গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালাতে ‘বাধ্য’ করা হয়েছে।
খোনা বলেন, ‘‘দু্র্ভাগ্যজনক হলেও সংস্থার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ সংস্থার এই অবস্থার জন্য তিনি আমেরিকার প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি সংস্থাকে দায়ী করেছেন। জানিয়েছেন, সংস্থা ইঞ্জিনের জোগান দেয়নি। সে কারণেই বিপাকে গো ফার্স্ট সংস্থা। তাদের ২৮ বিমান উড়তে পারছে না। অর্থাৎ সংস্থার মোট যতগুলি বিমান রয়েছে, তার অর্ধেকই এখন বসে রয়েছে।
ওয়াদিয়াদের এই সংস্থায় কাজ করেন ৩,০০০ কর্মী। সংস্থার এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে সরকারকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। খোনা জানিয়েছেন, ইনসলভেন্সি (সাময়িক সঙ্গতিহীনতা) আবেদন গৃহীত হওয়ার পরেই সংস্থার বাকি সক্রিয় বিমানের উড়ান শুরু হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা একটি বিবৃতি দিয়ে সংস্থা জানিয়েছে, আমেরিকান সংস্থার সরবরাহ করা ইঞ্জিন খারাপ হওয়ায় এই চরম পদক্ষেপ করতে হয়েছে। ১ মে পর্যন্ত ২৫টি বিমানকে বসানো হয়েছে। সেগুলির উড়ান আর সম্ভব হচ্ছে না। গো ফার্স্ট সংস্থা ‘ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি’ মডেলে চলে। অর্থাৎ তাদের একটি বিমান উড়ানের পর সে দিনই তার জ্বালানির টাকা মেটায় তেল সংস্থাকে। এ বার যেহেতু তাদের ২৮টি বিমান বসে রয়েছে, সে কারণে তেল সংস্থাকে বকেয়া টাকা মেটাতে পারেনি। সে কারণে ইনসলভেন্সি (সাময়িক সঙ্গতিহীনতা)-র আবদেন করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আমেরিকার প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি সংস্থা তাদের বিকল্প কোনও ইঞ্জিনও সরবরাহ করতে পারেনি।
২০২২ অর্থবর্ষে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে ওয়াদিয়াদের এই বিমান সংস্থা। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, সংস্থার শেয়ারের বড় অংশ তারা বেচে দিতে চায়। আবার শোনা গিয়েছিল, উড়ান ব্যবসা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে চায়। যদিও পরে সংস্থার তরফে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়, এই ধরনের পদক্ষেপ তারা করছে না। এ বার দু’দিনের উড়ান বন্ধ করল সংস্থা।