Gang Rape

দুর্ঘটনায় মৃত ছাত্রী, গণধর্ষণ করে খুনের পর দাবি অভিযুক্ত সহপাঠীদের! বিক্ষোভ রাজস্থানে

মৃতার কাকার দাবি, গণধর্ষণের জেরে জখম মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্তেরা। পথদুর্ঘটনার জেরে তিনি জখম হয়েছেন বলে হাসপাতালে ভর্তিও করান তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জয়পুর শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ১৯:৪৪
Share:

ভাইঝিকে গণধর্ষণ করেন তাঁরই সহপাঠীরা। দাবি মৃতার কাকার। প্রতীকী ছবি।

তুতো বোনের বান্ধবীর সঙ্গে যোগসাজশ করে রাজস্থানের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই ৩ সহপাঠীর বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। এর প্রতিবাদে থানার বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্য-সহ স্থানীয়েরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সীকর জেলার লক্ষ্মণনগর থানা এলাকায় দাদুর সঙ্গে থাকতেন ছাত্রী। তাঁর বাবা কর্মসূত্রে সৌদি আরবে বসবাস করেন। মৃতার কাকার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভাইঝিকে গণধর্ষণ করেন তাঁরই ৩ সহপাঠী। ওই ৩ জন ছাড়া ভাইঝির তুতো বোনের এক বান্ধবীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এফআইআর করেছেন তিনি। কাকার দাবি, গণধর্ষণের জেরে জখম মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্তেরা। পথদুর্ঘটনার জেরে তিনি জখম হয়েছেন বলে হাসপাতালে ভর্তিও করান তাঁরা। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শুক্রবার মৃত্যু হয় মেয়েটির।

ছাত্রীর মৃত্যুর পর লক্ষ্মণনগর থানার বাইরে বিক্ষোভে বসেন তাঁর আত্মীয়-পরিজনেরা। মৃতার দেহ নিতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধদের বোঝাতে থানায় হাজির হন ডিএসপি শ্রাবণকুমার জোরহাড়। মৃতার কাকার অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ থানায় এফআইআর করাতে গেলে তা নথিভুক্ত করা হয়নি। পরে রাত ১০টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হলে এফআইআর দায়ের করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। রাজনৈতিক প্রভাবের জেরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি।

Advertisement

লক্ষ্মণনগর থানার সাব-ইনস্পেক্টর মোহন সিংহ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তেরা ছাত্রীর স্কুলের বন্ধু ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ডি) এবং ৩০২ ধারায় গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement