প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় অর্ধচেতন অবস্থায় পড়ে এক কিশোরী। পাশেই পড়ে রয়েছে একটা সাইকেল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অসমের নওগাঁ থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার সময় তাকে তিন জন দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করে। তার পর রাস্তার ধারে অর্ধচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় তারা।
কিশোরীকে ওই অবস্থায় দেখে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যকে বলেন, “রাস্তার ধারে পড়েছিল মেয়েটি। একটি মেয়েকে ওই অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। আরও কয়েক জন সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। কী হয়েছে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু সে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। তবে শুধু বলেছিল ওকে তিন জন ধর্ষণ করেছে।”
এক কিশোরীকে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবি জোরালো হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়ন ওই এলাকায় বন্ধের ডাক দিয়েছে শুক্রবার। এমনিতেই আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোটা দেশ উত্তাল। তার মধ্যে বদলাপুরে যৌন নিগ্রহের ঘটনা নিয়েও উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র। সেই আবহে অসমে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পরিস্থিতি যাতে অশান্ত না হয়ে ওঠে, তাই নওগাঁওয়ে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, “শহরে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। শহরের বুকে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করল তিন জন, তার পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারল না। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বন্ধ ডেকেছি। যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে, আমাদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলবে।”
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “ডিজিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”