Tamil Nadu School

মাসের পর মাস ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহ শিক্ষকের! বদলাপুরের পর এ বার অভিযোগ উঠল তামিলনাড়ুর সরকারি স্কুলে

পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির নয় ছাত্রী যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, প্রথমে বিষয়টি শ্রেণিশিক্ষিকাদের কাছে জানান। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি আমল দিতে চাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ১১:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

মহারাষ্ট্রের ঠাণের বদলাপুরে স্কুলে দুই পড়ুয়ার যৌন নিগ্রহের ঘটনায় যখন তোলপাড় চলছে গোটা দেশে, এ বার তামিলনাড়ুর এক সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। মাসের পর মাস ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহ করা হত বলে অভিযোগ। শুধু তাই-ই নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরেও কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

রাজ্যের কোয়ম্বত্তূরের সিরুমুগাই এলাকার একটি সরকারি স্কুলের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। তা ছাড়া বিষয়টি জানার পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করলেন না স্কুলের প্রিন্সিপাল, কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন না, সেই অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। প্রিন্সিপালের পাশাপাশি স্কুলের দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির নয় ছাত্রী শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, প্রথমে বিষয়টি শ্রেণিশিক্ষিকাদের কাছে জানান। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি আমল দিতে চাননি। তার পর ওই ছাত্রীরা স্কুলের প্রিন্সিপালকে বিষয়টি জানান। তিনি এই বিষয়ে তদন্তও করেন। কিন্তু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, স্কুলে যখন জেলা শিশুসুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা একটি সচেতনতামূলক প্রচারে আসেন। তাঁদের কাছে যৌন নিগ্রহের বিষয়টি জানায় ছাত্রীরা।

Advertisement

সেই অভিযোগ পেয়েই শিশুসুরক্ষা দফতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে দেখা যায়, স্কুলের প্রিন্সিপাল অভিযোগ পেয়ে অন্য এক শিক্ষিকাকে সঙ্গে নিয়ে তদন্তও করেন। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বেশ কয়েকটি গাফিলতির বিষয় তদন্তে ধরা পড়ে। তার পরই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। তাঁকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করে শিশুসুরক্ষা দফতর।

উল্লেখ্য, বদলাপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে দুই পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই-ই নয়, ঘটনার পরেও কেন দ্রুত এফআইআর করা হল না, তা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। সেই প্রতিবাদ দাবানলের মতো ছড়িয়ে গোটা বদলাপুরে। অভিভাবকদের সঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হন সাধারণ মানুষও। তাঁরা পথে নামেন। রেল, সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বদলাপুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement