Ghulam Nabi Azad

‘নোংরা শহরে’র তকমা কাটিয়ে ‘পরিচ্ছন্ন’ কলকাতা, মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশংসায় গুলাম নবি

শহরে এসে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, “কলকাতাকে দেশের অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩০
Share:

‘নোংরা শহরে’র তকমা কাটিয়ে ‘পরিচ্ছন্ন’ কলকাতা, মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রশংসায় গুলাম নবি। ফাইল চিত্র।

কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা, অধুনা ডেমোক্রেটিক আজাদ পার্টির প্রধান গুলাম নবি আজাদ। তাঁর দাবি, কলকাতা আর আগের মতো নোংরা শহর নেই। বরং পরিচ্ছন্নতার নিরিখে দেশের যে কোনও শহরকে টেক্কা দিতে পারে ‘সিটি অফ জয়’। কলকাতার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও প্রশংসা ঝরে পড়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।

Advertisement

একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি শহরে এসেছিলেন গুলাম নবি। সেখানেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “কলকাতাকে দেশের অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” পুরনো কলকাতার স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, “৪৫ বছর ধরে এই শহরে আসছি। যুব কংগ্রেস নেতা হিসাবে যখন কলকাতায় আসতাম, তখন এটা ছিল দেশের অন্যতম নোংরা শহর। কলকাতার এই ভোলবদলের জন্য আমি মমতা এবং পুরসভার আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

Advertisement

কলকাতার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে তাঁর দাবি, এত ভাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দেশের খুব কম শহরেই আছে। ‘বদলে যাওয়া’ কলকাতার প্রশংসায় তাঁর সংযোজন, “আমার মনে হয়, কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই উন্নত। শহরের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, এখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কত উন্নত হয়ে গিয়েছে।” এ সব কিছুর জন্যই বার বার প্রাক্তন রাজনৈতিক সহকর্মী মমতার প্রশংসা করেন তিনি। দেশের মধ্যে একমাত্র কলকাতা শহরেই ১০ টাকায় পেটভর্তি খাবার পাওয়া যায় বলে দাবি করেন তিনি।

গুলাম নবি এবং মমতা দু’জনেই কংগ্রেসত্যাগী। প্রথম জন কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গড়ে এখনও পর্যন্ত তেমন সাফল্য না পেলেও দ্বিতীয় জন নতুন দল গড়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছেন। কংগ্রেসের তরফে দু’জনকেই ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগদানের অনুরোধ জানানো হলেও, কেউই রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় পা মেলাননি। যদিও বিজেপি বিরোধিতায় মমতাকে তো বটেই, গুলাম নবিকেও সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গুলামের এই মমতা-‘স্তুতি’ নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement