Gautam Adani

‘আমিও হয়তো... ’, ২৬/১১ হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের তাজ হোটেল, লিয়োপোল্ড ক্যাফে, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, নরিম্যান হাইস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট-সহ বহু জায়গায় হামলা চালায় লস্কর-ই-তইবার দশ জঙ্গি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৬
Share:

তাজ হোটেলে হামলার সময় বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে বৈঠক করছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

২৬/১১-র মুম্বই হামলায় নিহত ১৬৬ জনের মতো হয়তো তাঁরও মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। লস্কর জঙ্গিদের ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। শনিবার একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সে দিনের স্মৃতিচারণা করে এমনই দাবি করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি।

Advertisement

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের তাজ হোটেল, লিয়োপোল্ড ক্যাফে, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, নরিম্যান হাইস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট-সহ বহু জায়গায় হামলা চালায় লস্কর-ই-তইবার দশ জঙ্গি। ওই হামলায় সে দিন মুম্বইয়ে ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৩০০ জনের বেশি। ‘আপ কি আদালত’ নামে টিভি অনুষ্ঠানে সে দিনের কথা তুলে ধরেছেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার। তিনি জানিয়েছেন, ওই হামলার সময় তাজ হোটেলে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে বৈঠক করছিলেন। আদানির কথায়, ‘‘সে দিন তাজ হোটেলে বন্ধুদের সঙ্গে মিটিং করছিলাম। দুবাই থেকে এখানে (মুম্বইয়ে) এসেছিলেন তাঁরা। ডিনারের পর বেরোতে যাব, তখন আরও এক দফা মিটিংয়ের প্রস্তাব দেন কয়েক জন বন্ধু। তাঁদের কথায় হোটেলে থেকে যাই। কফি খেতে খেতে মিটিং চলছিল। সে সময় জানতে পারি, হোটেলে হামলা করা হয়েছে। কয়েক মিনিট পর হোটেলের এক কর্মী এসে কিচেনের পিছনের দরজায় নিয়ে যান।’’

সংবাদমাধ্যমের দাবি, সে রাতে তাজের বেসমেন্টে লুকিয়ে ছিলেন আদানি। পাশাপাশি, ওই হামলায় ক্ষতবিক্ষত তাজ হোটেল থেকে প্রায় ২০০ জনকে বন্দিকে উদ্ধার করেছিলেন দমকলকর্মীরা।

Advertisement

তাজ হোটেলে অস্ত্রধারী জঙ্গিদের হামলা থেকে আশ্চর্যজনক ভাবে অক্ষত অবস্থায় ফিরেছিলেন বলে জানিয়েছেন আদানি। তাঁর কথায়, ‘‘মাঝেমধ্যে মনে হয়, ডিনারের বিল মেটানোর পর যদি হোটেলের লবিতে যেতাম, তা হলে হয়তো আমার উপরেও হামলা চলত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement