কীটনাশক প্রয়োগে ২৫ শকুনের মৃত্যু। ছবি : টুইটার থেকে নেওয়া।
কীটনাশক প্রয়োগের ফলে ২৫টি শকুনের মৃত্যু হয়েছে। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগের সাজা হিসেবে গৌহাটি হাইকোর্ট ওই ব্যক্তিকে ২৫টি গাছ লাগিয়ে সেগুলোর সঠিক পরিচর্চার আদেশ দিল। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা।
গুয়াহাটি থেকে উত্তরে ৪০ কিলোমিটার দূরে কামালপুরের বাসিন্দা ধনপতি দাসের বিরুদ্ধে অসমের বন দফতর একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ, ধনপতি দাস একটি ছাগলকে কীটনাশক মেশানো খাবার দেন। যা খেয়ে ছাগলটি মৃত্যু হয়। সেই মৃত ছাগলের মাংস খেয়ে মৃত্যু হয় বিরল প্রজাতির ২৫টি শকুনের।
গত ৪ এপ্রিল ২৮ দিন পর গৌহাটি হাইকোর্ট ধনপতি দাসকে জামিন দেয়। তারপর প্রায় এক মাস পর এই মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি তাঁকে ২৫টি শকুনের মৃত্যুর দায়ে ২৫টি গাছ লাগানোর আদেশ দেন। সেই গাছগুলিতে সঠিক পরিচর্চা করে বাঁচিয়ে রাখার কথাও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : রেস্তরাঁর রান্নাঘরে স্নান করে চাকরি গেল কর্মীর
আরও পড়ুন : চকোলেট কিনতে সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা খরচ করলেন মহিলা!
বিচারপতির এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরণ্যকের সদস্য বিভব তালুকদার দাবি করেছেন, যে ধারায় ধনপতি দাস অভিযুক্ত হয়েছেন, তাতে তাঁর ৬ মাসের সাজা হতে পারত। তার বদলে যে আদেশ তাঁকে দেওয়া হয়েছে, এতে ধনপতি দাসের মধ্যে পরিবেশ রক্ষায় আগ্রহ বাড়বে।