পুলিশের গুলিতে হত আতিক আহমেদের পুত্র আসাদ (বাঁ দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
আসাদ আহমেদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলামের সঙ্গে যখন পুলিশের গুলির লড়াই চলছিল, সেই সময় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলার শুনানিতে ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদকে হাজির করানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীনই আতিক খবর পান, তাঁর পুত্র আসাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
পুত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই আদালতে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন ‘গ্যাংস্টার’ আতিক। এক দিকে তিনি যখন পুত্রশোকে কাঁদছিলেন, ‘এনকাউন্টারে’ আসাদের মৃত্যুর খবর উমেশ পালের পরিবারের কাছে পৌঁছলে তাঁর মা এবং স্ত্রী বলেন, “বিচার পেলাম।” আবার এই ‘এনকাউন্টার’ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রশংসা করেছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই কাজই অপরাধীদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দিল যে, নতুন ভারতে এই ধরনের কাজ করলে তার পরিণতি কী হয়।
উপমুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-কে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। পাল্টা জবাব দিয়েছে তারাও। এই ঘটনা অপরাধীদের কাছে বার্তা দিচ্ছে যে, এটি নতুন ভারত। এটি যোগী আদিত্যনাথের সরকার, সমাজবাদী পার্টির সরকার নয়।”
পুলিশ সূত্রে খবর, আতিকের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঝাঁসিতে নিজের বাড়িতে আসাদ এবং গুলামকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। ঝাঁসিতে আতিকের অনেক আত্মীয় থাকেন। এটা জানত পুলিশ। উমেশ পাল অপহরণ মামলায় ওই শহর থেকেই কয়েক দিন আগে আতিকের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি ধৃতদের কাছ থেকেই আসাদ এবং তাঁর সঙ্গীর গোপন আশ্রয়ের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ? যদিও এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি এসটিএফ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঝাঁসিতে চিরুনিতল্লাশি চালায় পুলিশ। বরাগাঁও এবং চিরগাঁও থানার মাঝে পরীক্ষা বাঁধের কাছে আত্মগোপন করেছিলেন আসাদ এবং গুলাম। পুলিশের দাবি, তাদের দেখে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে আসাদ এবং গুলামের মৃত্যু হয়।