প্রতীকী ছবি।
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি
গুজরাতের যুবশক্তি এবং প্রথম বারের ভোটারদের কাছে নরেন্দ্র মোদীর আহ্বান, ‘ভোটদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়তে হবে।’
গুজরাতে পর পর জনসভা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বার বার দাবি করছেন, এ বারের ভোটে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বিজেপি— তিনি দিল্লিতে বসেই সেই খবর পাচ্ছেন। প্রত্যেকটি বুথে যেন বিজেপি এগিয়ে থাকে, এমন দাবিও তিনি করছেন রাজ্যবাসীর কাছে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, আদিবাসী এবং তরুণ প্রজন্মকে পাখির চোখ করতে গুজরাতের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। নিজেও সেই মর্মে প্রচার করছেন।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এ বার গুজরাতে ১১.৭৪ লক্ষ ভোটার প্রথম বার ভোট দেবেন। ২০১৭-র তুলনায় এই সংখ্যা কিঞ্চিৎ বেশি (গত বারের ভোটে যা ছিল ১১.৮ লক্ষ)। সম্প্রতি ভালসাদে মোদীর জনসভা ঘিরে তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে বলেই দাবি করছে রাজ্য বিজেপি।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটগুলিকে নজরে রেখেই প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি গোটা দেশে দু’দফায় প্রায় দেড় লক্ষ সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গুজরাতে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মুখ পুড়েছে বিজেপি সরকারের। বিরোধীদের চাপে ওই কেলেঙ্কারিতে আট জনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। আপ এবং কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে প্রচার করছে। বিরোধী শিবিরের আশা, ওই ঘটনার ফলে বিজেপির উপরে বিশ্বাস হারিয়েছে নতুন প্রজন্ম। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে কাছে টানতে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছে আপ-কে। অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকার দিল্লিতে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছে বলে দাবি করে প্রচারে বলা হচ্ছে, ক্ষমতায় এলে গুজরাতেও একই পদক্ষেপ করবে আপ।