গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে সহযোগী দলগুলির সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, বাংলার পড়শি রাজ্যের ৮১টি আসনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল ৬৮টিতে লড়বে। বাকি ১৩টি আসন ছাড়া হবে সহযোগী তিন দলকে।
প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর দল ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-কে এ বারের বিধানসভা ভোটে ১০টি আসন ছাড়ছে বিজেপি। দু’টি আসন দেওয়া হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-কে। একটি পাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি রামবিলাস। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে আজসুর সঙ্গে বিজেপির আসন সমঝোতা বিধানসভা ভোটের ফলাফলে নির্ণায়ক হতে পারে।
২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে একক ভাবে লড়ে ২৫টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল ৩৩ শতাংশের বেশি ভোট। অন্য দিকে, মাত্র দু’টি আসনে জিতলেও আজসু পেয়েছিল ৮ শতাংশের বেশি ভোট। তা ছাড়া, গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনটি আসনে জিতেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডির ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতান্ত্রিক)। কয়েক বছর আগে তাঁর দলকে বিজেপিতে মিশিয়ে দিয়েছেন বাবুলাল। এ বারের বিধানসভা ভোটে তিনিই পদ্মশিবিরের সেনাপতি।
অন্য দিকে, ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’ এ বারও তিন দল এক সঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কেও। এই পরিস্থিতিতে কার্যত দ্বিমুখী লড়াই হতে যাবে এ বারের বিধানসভা ভোটে। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় প্রথম দফায় ৪৩টি আসনে ভোট হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফায় ৩৮টি আসনে ২০ নভেম্বর। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভার সঙ্গেই।