বাঁ দিকে মল্লিকার্জুন খড়্গে, ডান দিকে উদ্ধব ঠাকরে। — ফাইল চিত্র।
বৃহত্তর মুম্বই বনাম পূর্ব বিদর্ভ। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে বিরোধী জোটের ‘জট’ আপাতত আটকে এই দুই অঞ্চলে। বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র দুই শরিক কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি)-র মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে শুক্রবার। জোটের আর এক সহযোগী, শরদ পওয়ারের এনসিপির (এসপি) অন্দরেও আসন রফার ‘সূত্র’ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি।
উদ্ধবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত শুক্রবার আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের ধীরে চলো নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের খুব বেশি সময় বাকি নেই, এবং আমি মনে করি মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম। তাঁরা অনুমোদনের জন্য দিল্লিতে তালিকা পাঠাতে থাকেন, কিন্তু সেই সময় চলে গিয়েছে। আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।’’ মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের ‘অক্ষম’ বলে চিহ্নিত করার পাশাপাশি রাউত জানিয়ে দেন, কেবলমাত্র লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী।
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধবসেনার সঞ্জয় রাউত এবং শরদপন্থী এনসিপির জয়ন্ত পাতিল, জিতেন্দ্র আহিরওয়াড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে। সেখানে মুম্বই, বিদর্ভ এবং কোঙ্কণ উপকূলের ২৫টি আসন ছাড়া মোটের উপর সমঝোতা হয়ে গিয়েছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর মিলেছিল। কিন্তু পাটোলে শুক্রবার জানিয়েছেন ২৮টি আসন ঘিরে সমস্যা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস ‘হাইকমান্ড’ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’
সূত্রের খবর, বৃহত্তর মুম্বই এবং পূর্ব বিদর্ভ নিয়ে এখনও কংগ্রেস-উদ্ধবসেনার টানাপড়েন রয়েছে। দু’বছর আগে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারালেও এখনও দেশের বৃহত্তম পুরসভা ‘বৃহন্মুম্বই’ উদ্ধবের দখলে। অন্য দিকে, মরাঠওয়াড়ার পাশাপাশি বিদর্ভ অঞ্চলে কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী শক্তি। এই দুই অঞ্চলে কোনও দলই সহযোগীদের আসন ছাড়তে নারাজ। আর সমস্যা সেখানেই।