—প্রতীকী ছবি।
গরুদের খাওয়ানোর জন্য প্রতি দিনই আখ তুলতে ক্ষেতে যেত চার বছরের শিশু। সন্ধ্যায় বাবা-মা ফেরার আগে বাড়ি ফিরে যেত সে। কিন্তু মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে আর মেয়ের দেখা পেলেন না তাঁরা। ঘটনাটি গুজরাতের সুরাটের ভেস্তন এলাকার সিদ্ধার্থনগর বস্তিতে ঘটেছে। আখের ক্ষেত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, কুকুরের কামড়ে মারা গিয়েছে সে।
মৃতার বাবা দেবচাঁদ আরদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একটি কাপড়ের কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। তিন ছেলেমেয়েকে বাড়িতে রেখে রোজ কাজে বেরিয়ে যেতেন তাঁরা। কাজ করে ফেরার পর তিন জনকেই বাড়িতে দেখতে পেতেন তাঁরা।
কিন্তু মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার বহু ক্ষণ পরেও মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না দেবচাঁদ এবং তাঁর স্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে আখের ক্ষেতে ছুটে যান তাঁরা। সেখানে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় কন্যাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দেবচাঁদ জানান, প্রতি দিন গরুদের খাওয়ানোর জন্য আখের ক্ষেতে আখ তুলতে যেত তাঁদের মেয়ে। আখ তোলার পর সেখানেই গরুদের খাওয়াত সে। খাওয়ানোর পর সন্ধ্যা নামার আগেই বাড়ি ফিরে আসত। প্রতি দিনের মতো মঙ্গলবারও আখের ক্ষেতে গিয়েছিল দেবচাঁদের কন্যা। সেখানে যাওয়ার পর আট থেকে দশটি কুকুর ঘিরে ফেলে তাকে। নিজেকে বাঁচানোর কোনও রাস্তা খুঁজে পায়নি সে। ক্ষেতের মধ্যে কুকুরের কামড় খেয়েই মারা যায় চার বছরের শিশু।