—প্রতীকী ছবি।
ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়েছিল তরুণ-তরুণীর। তার পর তিন থেকে চার মাসের বন্ধুত্ব। বন্ধুর উপর ভরসা করেই একসঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন তরুণী। ‘অচেনা’ বন্ধুকে ভরসা করাই কাল হল তাঁর। সাত দিন ধরে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তাঁর শরীরে গরম ডাল ঢেলে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ। দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ের রাজু পার্ক এলাকার ঘটনা। ২৮ বছর বয়সি অভিযুক্তের নাম পরস। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সম্প্রতি তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩০ জানুয়ারি তাদের কাছে খবর পৌঁছয় যে এক মহিলাকে তাঁর স্বামী নির্যাতন করছেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গুরুতর অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা ওই তরুণী। তিন-চার মাস আগে থেকে পরসের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। পুলিশ জানায়, পরিচারিকার কাজ শুরু করবেন বলে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল তরুণীর। সে কারণে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ট্রেনে দিল্লি পৌঁছন তিনি।
পরসের সঙ্গে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকা শুরু করেন। কিন্তু দিনের পর দিন তরুণীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকেন পরস। পরসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মারধরের পাশাপাশি রোজ তরুণীকে ধর্ষণ করতেন তিনি। এমনকি, তরুণীর গায়ে গরম ডালও নাকি ঢেলে দিয়েছিলেন পরস। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর শরীরে ২০টি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা পরস। দিল্লির একটি খাবারের দোকানে রান্নার কাজ করেন তিনি। তরুণীকে নাকি তাঁর সঙ্গে থাকার অনুরোধ করেছিলেন পরস। শুধু তা-ই নয়, দিল্লিতে তাঁকে নতুন কাজ খুঁজে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শুক্রবার তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগে পরসকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।