চার ভাইবোন। ফাইল চিত্র।
ওঁরা চার ভাইবোন। দুই ভাই, দুই বোন। যোগেশ বড়, ক্ষমা মেজো, মাধুরী সেজো এবং লোকেশ সকলের ছোট। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এই চার জনের তিন জনই আইএএস, এক জন আইপিএস অফিসার। একই পরিবার থেকে ভাইবোনের সবাই আইএএস-আইপিএস, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। সেই ‘অসাধ্যসাধন’ করে দেখালেন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের মিশ্র ভাইবোনেরা।
যোগেশ-ক্ষমাদের বাবা অনিলপ্রকাশ মিশ্র গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। বড় সংসার চালাতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সঙ্গে কখনও আপস করেননি তিনি। অনিল বলেন, “আমি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হওয়া সত্ত্বেও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে কোনও দিন আপস করিনি। সব সময় চাইতাম ওঁরা ভাল চাকরি পাক। তবে ওঁরাও সব সময় পড়াশোনার দিকেই বেশি নজর দিত।”
অনিলের বড় ছেলে যোগেশ আইএএস আধিকারিক। লালগঞ্জ থেকে স্কুলের পড়া শেষ করে মতিলাল নেহরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করেন। তার পর নয়ডায় চাকরি পান। সেই চাকরি করতে করতেই ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। ২০১৩-য় পরীক্ষায় পাশ করে আইএএস হন।
যোগেশের বোন ক্ষমাও ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিন তিন বার ব্যর্থ হন। কিন্তু চতুর্থ বার পরীক্ষায় পাশ করেন। বর্তমানে তিনি এক জন আইপিএস আধিকারিক। যোগেশের আর এক বোন মাধুরী লালগঞ্জ থেকে স্নাতক করার পর স্নাতকোত্তরের জন্য ইলাহাবাদে যান। স্নাতকোত্তরের পর ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন তিনি। ২০১৪-তে ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইএএস হন। যোগেশের ভাই লোকেশও ২০১৫-তে ইউপিএসসি পাশ করে বিহার ক্যাডারের আইএএস।
চার ছেলেমেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অনিল বলেন, “এর থেকে আর কী চাওয়ার আছে? সন্তানরা আমার গর্ব।”