পি চিদম্বরম। ফাইল চিত্র।
এয়ারসেল ম্যাক্সিস এবং আইএনএক্স মিডিয়া সংক্রান্ত আর্থিক জালিয়াতি মামলায় মাথার উপর সিবিআইয়ের খাঁড়া ঝুলছে। এর মধ্যেই পি চিদম্বরমের চাপ বাড়িয়ে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইউপিএ আমলে এয়ার ইন্ডিয়ার ১১১ বিমান কেনা নিয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। আগামী ২৩ অগস্ট চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
বিপুল আর্থিক ক্ষতি নিয়ে এমনিতেই ধুঁকছে এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সরকারি সংস্থা। ইডির মূল অভিযোগ, ২০০৭ সালে ওই বিমান কেনার জন্য যে চুক্তি হয়েছিল তা সংস্থাটির ঘাড়ে আরও বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিল। আরও অভিযোগ, কোনও রকম বিবেচনা ছাড়াই এয়ার ইন্ডিয়া লাভজনক রুটে বিমান উড়ান বন্ধ করে দিয়েছিল এবং তা দেশীয় ও বহুজাতিক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিল। তার ফলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দীপক তলওয়ার নামে এক কর্পোরেট লবিস্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও দায়ের হয়েছে।
এর আগে, ওই একই মামলাতে প্রাক্তন অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। প্রাক্তন অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রীর দাবি, বিমান ক্রয়ের জন্য যে দায়িত্বপ্রাপ্ত যে মন্ত্রিগোষ্ঠী ছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন পি চিদম্বরম। প্রফুল্ল পটেলের দেওয়ার এই সূত্র ধরেই এ বার চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। এই মামলার প্রেক্ষিতেই সিবিআইয়ের হাতে থাকা আর্থিক জালিয়াতি মামলার এফআইআর রিপোর্ট সম্পর্কেও খোঁজখবর নিচ্ছে ইডি।
আরও পড়ুন: সোনার বল পেয়েও ওই শটের আক্ষেপ আজও যায়নি, আনন্দবাজারকে ফোরলান
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে এয়ারবাস সংস্থার থেকে ৪৩ বিমান কেনায় সিলমোহর দিয়েছিল পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রিগোষ্ঠীই। তখন নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাতে শর্ত দেওয়া হয়েছিল বিক্রির পরেও, বিমান নির্মাণকারী সংস্থাটি প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামতি ইত্যাদি নানা সুবিধা সরবরাহ করবে। কিন্তু, পরে যখন বিমানের পারচেজ অর্ডার দেওয়া হয় তখন সেই শর্ত সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফোনে তিন তালাক, পুলিশে অভিযোগ করায় মেয়ের সামনেই বধূকে পুড়িয়ে মারল স্বামী