Tripura

গ্রেফতার মানিক, অবরোধ ও বিক্ষোভের চাপে মুক্তি

সিপিএম ১৬ দফা কর্মসূচিতে আজ সারা রাজ্যে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। আগরতলা প্যারাডাইস চৌমহনীতে সিপিএমের জড়ো হল দলের নেতারা ও প্রচুর কর্মী-সমর্থক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২০ ০২:১৬
Share:

ত্রিপুরা দক্ষিণ জেলার সাব্রুমে রুপাইছড়ি ব্লকের সামনে আহত এক সিপিএম কর্মী। (ডান দিকে) মানিক সরকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী ও নিজস্ব চিত্র

শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে ত্রিপুরায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল সাব্রুমের রুপাইছড়ি ব্লক এলাকা। সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ| বিজেপি-সিপিএম মিলিয়ে অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের গোমতী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Advertisement

সিপিএম ১৬ দফা কর্মসূচিতে আজ সারা রাজ্যে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। আগরতলা প্যারাডাইস চৌমহনীতে সিপিএমের জড়ো হল দলের নেতারা ও প্রচুর কর্মী-সমর্থক। রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী প্রচুর সংখ্যায় মোতায়েন ছিল। সেখানে উপস্থিত বিধায়ক বাদল চৌধুরী বলেন, “আজকের আন্দোলনে সমর্থকদের উপস্থিতিতে বোঝা যায় যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেমানুষ কতটা বীতশ্রদ্ধ। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে মানুষের।” কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যাওয়ার সময় দলের কিছু কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়েছিল। তার পর সমর্থকরা গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এবং পথ অবরোধ করেন| পুলিশ এতে মানিক সরকারকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, সিপিএম ১৪৪ ধারা অমান্য করে সিপিএমের সমর্থকরা জড়ো হয়েছে। তাঁরা কোভিড -১৯ এর বিধিনিষেধ অমান্য করেছেন। সিপিএম বলছে, তারা মানুষের জন্যে আন্দোলন করছে। কিন্তু আসলে তাঁরা কোভিড অতিমারি ছড়ানোর কাজ করছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ

দক্ষিণ জেলার রুপাইছড়ি ব্লকের সামনে এই কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। সিপিএমের সাব্রুম মহকুমার সম্পাদক দীপক চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিক্ষোভ কর্মসূচির চলার সময়ে পুলিশের সামনেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে। ওই হামলায় পাঁচ জন সিপিএম কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের গোমতী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পাল্টা অভিযোগ আজ সকালে বুথ সভাপতি হীরক ত্রিপুরা বাজারে যাওয়ার সময় সিপিএমের গুন্ডাবাহিনী হামলা করেছে। তাতে, হীরকবাবু গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও চার জন বিজেপি কর্মী গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। তাঁদের গোমতী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ আজ সিপিএমের কর্মীদের সহায়তা করেছে। কারণ, সিপিএমের কর্মীরা ঝামেলা শুরু করলেও, পুলিশ বিজেপি কর্মীদের লক্ষ করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।

সাব্রুম থানার এক পলিশ কর্তা জানান, দু’দলের কর্মীরা আজ প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। দু’টি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহনী মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement