—প্রতীকী চিত্র।
স্বামীর সংসারে গিয়ে ভালবেসে ঘরের কাজ করেন স্ত্রী। তাঁকে জোর করা উচিত নয়। স্ত্রী অসুস্থ হলে তাঁকে দিয়ে ঘরের কাজ করানো নিষ্ঠুরতা। একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এমন মন্তব্য করল দিল্লি হাই কোর্ট। বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেই এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
মামলাকারী ব্যক্তি তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অসম্মান করেন। দাম্পত্যের শুরু থেকেই ঝগড়াঝাঁটি লেগে আছে। এমনকি, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগও এনেছেন মহিলা। তাঁর স্বামী আরও জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে কখনও বাড়ির কোনও কাজে অংশ নেননি মহিলা। সংসারে টাকা দিয়েও সাহায্য করেননি।
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আদালতের মন্তব্য, ‘‘আমাদের মতে, যখন কোনও মহিলা শ্বশুরবাড়িতে ঘরের কাজ করেন, পরিবারের প্রতি ভালবাসা থেকেই করেন। যদি তাঁর শরীর তাতে সায় না দেয়, তবে অসুস্থ স্ত্রীকে ঘরের কাজ করতে বাধ্য করা যায় না। সেটা নিষ্ঠুরতা।’’
যদিও মামলাকারী স্বামীর বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগ পায়নি আদালত। বরং ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীকে যাতে ঘরের কাজ করতে না হয়, তার জন্য পরিচারিকা নিয়োগ করেছিলেন স্বামী। এ ক্ষেত্রে সাংসারিক দায়িত্ব পালনে স্ত্রীর গাফিলতিই প্রমাণিত হয়েছে। তাই মামলাকারীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রথম থেকেই স্বামী এবং তাঁর পরিবারের প্রতি উপযুক্ত দায়িত্ব পালন করেননি অভিযুক্ত স্ত্রী। উল্টে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে থানায় গিয়েছেন এবং তাঁদের হেনস্থা করেছেন। আদালত জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ এনে স্বামীর সম্মানহানি ঘোর নিষ্ঠুরতা, যা বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানকে নাড়িয়ে দেয়। তাই স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট।