Delhi Rain

দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীর বাড়ির এলাকাতেও ঢুকে পড়েছে বন্যার জল, আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে যমুনার জলস্তর

বুধবার যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত যমুনার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২০৮.৪১ মিটার। রাজধানীতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১০:২৬
Share:

জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে যমুনা নদীর। ছবি: পিটিআই।

আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জি২০ সম্মেলন। তার মধ্যেই অতি বর্ষণের ফলে বাণের জলে ভেসে উঠেছে রাজধানী। দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনা নদীর জলস্তর। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাড়ির নিকটবর্তী এলাকাতেও বন্যাপ্রবণ পরিস্থিতি। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে যমুনার জলস্তর বিপদসীমা থেকে তিন মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। মঞ্জু কা টিলার সঙ্গে সংযুক্ত কাশ্মীরি গেট আইএসবিটির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রিং রোড এলাকার কিছু অংশ বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের আবাসস্থল থেকে এই এলাকাটি আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। বুধবার যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকেও টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে যার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত যমুনার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২০৮.৪১ মিটার। রাজধানীর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন কেজরীওয়াল। হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে যথাসম্ভব কম হারে জল ছাড়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে, হিমাচল থেকে হরিয়ানায় জল ছাড়া কমানোর জন্য।

Advertisement

কেন্দ্রীয় জলশক্তির তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো থেকে হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে। দিল্লিবাসীদের নিগমবোধ শ্মশানঘাটের দিকে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে উদ্ধারকাজের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে। যমুনার জলস্তর বাড়তে থাকায় নিচু এলাকাগুলি ছাপিয়ে শহরের ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement