Assam

জলমগ্ন ১৪২টি গ্রাম, ৩৩ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত, বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ বাড়ছে অসমে

বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই অসমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন। ভারী বর্ষণে বিভিন্ন এলাকা জলের তলায়। কয়েকটি এলাকায় ধস নেমেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ১৩:২৪
Share:

জলমগ্ন এলাকা। ছবি: পিটিআই।

ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে সে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। তার জেরে বেশ কয়েকটি শহর, গ্রাম, জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ৩৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলের তলায় ১৪২টি গ্রাম।

Advertisement

প্লাবন পরিস্থিতির মধ্যেই শঙ্কার বার্তা দিয়েছে মৌসম ভবন। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর পূর্বের ওই রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। গুয়াহাটির আবহাওয়া দফতরও লাল সতর্কতা জারি করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোকরাঝাড়, চিরাং, বক্সা, বরপেটা, বঙ্গাইগাঁও এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ওই সময়ের মধ্যে ধুবড়ি, কামরূপ, নলবাড়ি, ডিমা হাসাও, কাছাড়, গোয়ালপাড়া এবং করিমগঞ্জ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

অসম প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাছার, দরং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, হোজাই, লখিমপুর, নগাঁও, নলবাড়ি, তিনসুকিয়া, উদালগুড়ি জেলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লখিমপুর জেলায়। সেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা। ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনসুকিয়ায়। সে রাজ্যে ১৫১০.৯৮ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডিমা হাসাও, করিমগঞ্জ এলাকায় প্রবল বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement