—প্রতীকী চিত্র।
তীব্র গরমের কারণে উত্তরপ্রদেশে তিন দিনে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়নি। এমনই দাবি করলেন মৃত্যুর তদন্তে গঠিত কমিটির ইন-চার্জ তথা লখনউয়ের এক সরকারি চিকিৎসক। জল সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু হলে যে উপসর্গ থাকে, তা মৃতদের মধ্যে নেই বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
গত ১৫ জুন ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জুন মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। ১৭ জুন মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। প্রায় ৪০০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কী কারণে মৃত্যু, এই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ জেলায় নিযুক্ত সরকারি চিকিৎসকরা জানান, তাপপ্রবাহের কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, এই নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। ওই কমিটির ইন-চার্জ হিসাবে রয়েছেন সরকারি চিকিৎসক একে সিংহ। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু হয়নি। প্রাথমিক উপসর্গ ছিল বুকে ব্যথা। তাপপ্রবাহের কারণে কেউ অসুস্থ হলে, এটা প্রথম উপসর্গ হয় না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘জল সংক্রান্ত কারণে মৃত্যু না কি অন্য কোনও কারণ, তা তদন্ত করার পরই জানা হবে। জলবায়ু বিভাব জলের নমুনা পরীক্ষা করবে।’’
তিন দিনে ৫৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরপ্রদেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হিটস্ট্রোকের কারণে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন বালিয়ার চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট পদমর্যাদার এক চিকিৎসক। এই মন্তব্যের কারণে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, ‘‘সঠিক তথ্য না জেনে এই মন্তব্য করার কারণে ওই চিকিৎসককে সরানো হয়েছে।’’ মন্ত্রী জানান যে, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে সরকার। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে আক্রমণ করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। রাজ্য সরকারের অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিঁধেছেন সপা নেতা।