Water Crisis

জলাধারগুলির ৮৩ শতাংশ জল শেষ! জলসঙ্কটের মুখে দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য

বেঙ্গালুরুতে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল মাসখানেক আগে, এ বার সেই একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে দক্ষিণ ভারতের আরও চার রাজ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫২
Share:

জলের হাহাকার। ছবি: পিটিআই।

অনেক দিন ধরেই জলসঙ্কটে ভুগছে কর্নাটকের বেশিরভাগ অঞ্চল। তার মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। একটু জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে, এমনও দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বিষয়টি আপাতত সামাল দেওয়া গেলেও আগামী দিনে কর্নাটকের ছবিটা যে খুব একটা স্বস্তির হবে না, সেই ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় জল কমিশন।

Advertisement

বেঙ্গালুরুতে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল মাসখানেক আগে, এ বার সেই একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে দক্ষিণ ভারতের আরও চার রাজ্যে। কর্নাটকের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জল কমিশন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যের জলাধারগুলির মোট ধারণক্ষমতার ৮৩ শতাংশ জল ফুরিয়ে গিয়েছে। গত বছরের তুলনায় জলস্তর অনেকটাই নেমেছে। ফলে এই রাজ্যগুলিতে আগামী দিনে জলসঙ্কটের একটা সম্ভাবনা তৈরির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

জল কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছর গড় স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল গোটা দেশে। তার জেরে দেশের জলাধারগুলিতে জলস্তর নামতে শুরু করেছে। একেই পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে জলাধারগুলিতে জলের সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়ছে না, তার সঙ্গে সেই জল ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই জলাধারগুলির সঞ্চয় প্রায় তলানির দিকে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার জল কমিশন দক্ষিণের পাঁচ রাজ্যের জলাধারের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ৫৩০৩ কোটি কিউবিক মিটার জল ছিল ওই রাজ্যের জলাধারগুলিতে, বর্তমানে রয়েছে ৮৮০ কোটি কিউবিক মিটার। এই পরিস্থিতিতে যে ভয়ানক সঙ্কটের মুখে দাঁড় করাবে পাঁচ রাজ্যকে, সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন জল কমিশনের ওই আধিকারিক।

Advertisement

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সময়ে জলস্তর কমে যাওয়াটা আরও বেশি আশঙ্কার। গত বছরের তুলনায় এ বছর এই সময়ে জলস্তর দ্রুত নামছে। এখনও বর্ষা আসতে আরও এক মাসের বেশি সময় বাকি। ফলে পরিস্থিতি যে খুব একটা স্বস্তির নয়, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তবে তার মধ্যেও আশার আলো দেখিয়েছে মৌসম ভবন। এ বছর গড় স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টি বেশি হতে পারে। ফলে সেই সময় দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জলস্তর বাড়তে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement