পরীক্ষা চলছে এক পাইলটের। ভারতীয় বায়ুসেনার টুইট
গগনযান প্রকল্পের জন্য প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২ জন পাইলটকে বাছাই করা হয়েছে বলে জানাল ইসরো। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ইনস্টিটিউট অব এরোস্পেস মেডিসিনে প্রথম দফার পরীক্ষায় উতরেছেন তাঁরা। চূড়ান্ত পর্যায়ে বাছাইয়ের পর চার জন মহাকাশচারী পাঠানো হবে।
১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দেন রাকেশ শর্মা। তিনিও বায়ুসেনার পাইলট ছিলেন। তাঁর বদলি হিসেবে যিনি ছিলেন, সেই রবীশ মলহোত্রও বায়ুসেনার পাইলট ছিলেন। ২০১৮ সালের স্বাধীনতা দিবসে গগনযান প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২২ সালে ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। ইসরো প্রাথমিক ভাবে চেয়েছিল, চার জন মহাকাশচারীর এক জন অন্তত মহিলা হন। সমাজের নানা স্তর থেকে বাছাইয়ের ভাবনাও ছিল। কিন্তু সূত্রের দাবি, হাতে সময় কম থাকায় শেষমেশ বায়ুসেনার টেস্ট পাইলট দল থেকেই ১২ জনকে বাছাই করা হয়েছে। টেস্ট পাইলটের তালিকায় কোনও মহিলা নেই। নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই ১২ জনের নাম গোপন রাখা হয়েছে।
ইসরোর সূত্র জানাচ্ছে, প্রথম দফায় শারীরিক এবং মানসিক ক্ষমতার পরীক্ষা হয়েছে। এর পর প্রায় তিন মাস ধরে আরও কঠিন পরীক্ষা নেওয়া হবে। কারণ, মহাকাশে প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করতে হতে পারে মহাকাশচারীদের। অভিকর্ষ বল শূন্য পরিস্থিতিতে স্নায়ুর জোর কতটা ধরে রাখতে পারবেন তাঁরা, তা-ও দেখা প্রয়োজন। এ ভাবে চার ধাপে বাছাইয়ের পর যে চার জন থাকবেন, রাশিয়ায় তাঁদের চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে। রাকেশ শর্মাও রুশ অভিযাত্রী দলের সঙ্গেই মহাকাশে গিয়েছিলেন।
অভিযানে যাওয়ার আগে ভারতীয় মহাকাশচারীদের জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা এবং মহাকাশযানের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরিচালনা শিখতে হবে। ভারতের এরোস্পেস মেডিসিন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পাঠ দেওয়া হবে ওই চার জনকে।