—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অনলাইনে অর্ডার করা আইসক্রিমের মধ্যে মানুষের আঙুলের টুকরো পেয়েছিলেন এক চিকিৎসক। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই আঙুলের টুকরো কার, কোথা থেকে এল, তা খুঁজে বার করেছে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুণের এক আইসক্রিম কারখানার কর্মীর আঙুল ছিল ওই আইসক্রিমের ভিতরে।
মুম্বইয়ের মলাডে এক চিকিৎসক গত ১২ জুন অনলাইনে আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন। নির্দিষ্ট সময়েই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল সেই আইসক্রিম। তিনি তা খেতেও শুরু করেছিলেন। পুলিশকে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে চিকিৎসক জানান, আইসক্রিম খেতে খেতে মাঝপথে হঠাৎ তাঁর মুখে শক্ত কিছু ঠেকে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, বাদাম জাতীয় কিছু আইসক্রিমে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পর দেখা যায়, সেটি আদৌ বাদাম নয়। বদলে আইসক্রিমের মধ্যে ঢুকে রয়েছে মানুষের আঙুলের একটি কাটা অংশ।
এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক। আইসক্রিম সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আঙুলের ওই টুকরোটি পাঠানো হয় ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। এই ঘটনার তদন্তের সূত্রে পুণের একটি আইসক্রিম কারখানাকে চিহ্নিত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই কারখানার এক কর্মচারীর সঙ্গে ওই আঙুলের ডিএনএ নমুনা মিলে গিয়েছে। অর্থাৎ, আঙুলটি ওই কর্মচারীরই। তাঁর নাম ওমকার পোটে।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, পুণের ওই কারখানায় বিস্কুটের কোনের মধ্যে আইসক্রিম ভরার সময়ে কোনও ভাবে কর্মচারীর আঙুল কেটে গিয়েছিল। তা আইসক্রিমের মধ্যেই পড়ে যায়। পরে সেই আইসক্রিমই অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে পৌঁছয় মুম্বইয়ের চিকিৎসকের কাছে। সংশ্লিষ্ট আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে।