অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সোমবার ৬.২৯ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। গতকাল তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রধান ও একাধিক মন্ত্রকের সচিবদের ডেকে পরিকাঠামোয় খরচ বাড়াতে বলেছিলেন। আজ তাঁরই অর্থ মন্ত্রক আগামী তিন মাসের জন্য খরচে রাশ টানল। কেন্দ্রীয় সরকারের একশোর বেশি দফতরকে আজ অর্থ মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে সারা বছরের বাজেটের ২০ শতাংশের বেশি খরচ করা যাবে না। এর মধ্যে ইস্পাত, কয়লা, বিমান মন্ত্রকের মতো মন্ত্রকও রয়েছে। খরচে রাশ টানার কারণ, সরকারের ঘরে নগদের অভাব।
অর্থ মন্ত্রকের দাবি, অর্থনীতিতে গতি আনতে পরিকাঠামোয় খরচে বেশি অর্থ ঢালতে, অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। ৬.২৯ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা হলেও সরকারের ঘর থেকে মাত্র ১.২৩ লক্ষ কোটি টাকার মতো খরচ হবে। তাতেও রাজকোষ ঘাটতি ৬.৮%-র লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখা মুশকিল। কারণ, কোভিডে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রাজস্ব আয়ও কমেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকার পরিকাঠামোয় খরচে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে বলেই মনে হচ্ছে। আজ অবশ্য সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দু’মাসে রাজকোষের ঘাটতি অনেক ভাল জায়গায়। এপ্রিল-মে মাসে রাজকোষ ঘাটতি সারা বছরের বাজেট লক্ষ্যমাত্রার ৮.২%। গত বছরের একই সময়ে তা ৫৮.৬% পার হয়ে গিয়েছিল। কারণ, লকডাউনের ফলে আর্থিক কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হওয়ায় কর থেকে রাজস্ব সংগ্রহও তলানিতে ঠেকেছিল। খরচও বেড়েছিল।
আজ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, লকডাউনে বাণিজ্য ঘাটতি কমার ফলে গত অর্থবর্ষে চলতি খাতে উদ্বৃত্তের হার ছিল ০.৯%। তার আগের অর্থবর্ষেই ০.৯% ঘাটতি হয়েছিল।