প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার উপায় নেই, অভিযোগ টিকায়েতের। —ফাইল চিত্র।
সরকারের সঙ্গে কৃষকদের ব্যবধান মাত্র একটা ফোনের। দেশবাসীর সামনে এমন বার্তা দিলেও একবারও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার বা সরাসরি কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি নরেন্দ্র মোদী। এমনই অভিযোগ করলেন কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর মতে, সরাসরি কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নম্বর পাওয়া জরুরি। কিন্তু সে রকম কোনও নম্বরই প্রকাশ করেননি মোদী।
শনিবার দেশ জুড়ে চাক্কাজ্যাম পালন হওয়ার পর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (বিকেইউ) নেতা টিকায়েত। প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোনে যোগাযোগ করার কথা বললেও, কৃষকরা কেন সাড়া দিচ্ছেন না, সেখানে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জবাবে টিকায়েত বলেন, ‘‘ঠিক আছে। প্রধানমন্ত্রী নম্বরটা বলুন দেখি! আমার নম্বর তো প্রকাশ করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীরও সে রকম নম্বর প্রকাশ করা উচিত, যাতে ওঁকে ফোন করতে পারি আমরা।’’
বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন কৃষক নেতারা। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীরা তাঁদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি করেন টিকায়েত। কাগজের দেখে দু’একটি শব্দ আওড়ানো ছাড়া তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘‘মূলত কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরই কথা বলতেন বৈঠকে। দু’একবার কথা বলেছিলেন পীযূষ গয়াল। দু’একটা প্রশ্ন করতেন ওঁরা। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করলে চেয়ার ছেড়ে উঠে ভিতরে চলে যেতেন। কারও সঙ্গে কথা বলে ফের ভিতরে আসতেন এবং ফের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিতেন। কিন্তু আমাদের প্রশ্নের জবাব দিতেন না। কাদের সঙ্গে কথা বলতে যেতেন ওঁরা? সরকার তো আসলে উপস্থিতই ছিল না বৈঠকে।’’
কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন আপাতত স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হলেও আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও অনড় কৃষকরা। সে ক্ষেত্রে বার বার বৈঠক করতে যাচ্ছিলেনই বা কেন তাঁরা? প্রশ্নের উত্তরে টিকায়েত বলেন, ‘‘বার বার ফোন করে আমাদের ডাকা হত। তাই যেতে হত।’’ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সঠিক অবস্থান নিতে পারেননি বলেই তাঁদের এত ঝামেলা কষ্ট করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন টিকায়েত।