—প্রতীকী ছবি।
খুব শীঘ্র আরও ২টি কোভিড প্রতিষেধকের ঘোষণা হবে। বাজেট পেশের সময় সংসদে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে ২টি নয়, এই মুহূর্তে নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আরও ৭টি প্রতিষেধক নিয়ে ভারত কাজ করছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। প্রত্যেক ভারতবাসীর টিকাকরণের লক্ষ্যে ভারত এগচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে এখনই বাজারে প্রতিষেধকগুলির আসার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন হর্ষবর্ধন। বরং চাহিদা বুঝে ধাপে ধাপে সেগুলিকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সংবাদমাধ্যমে হর্ষবর্ধন বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ২টি প্রতিষেধকের উপর নির্ভর করছি না আমরা। মোট ৭টি দেশীয় প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছি এই মুহূর্তে। আরও প্রতিষেধক তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের কারণ ভারতের মতো বিশাল দেশে প্রত্যেকের কাছে পৌঁছতে আরও প্রতিষেধক চাই আমাদের। তার জন্য আরও গবেষণারও প্রয়োজন।’’
এই ৭টি প্রতিষেধকের মধ্যে ৩টির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, ২টি পরীক্ষামূলক প্রয়োগের মুখে, ১টি এখনও প্রথম দফার পরীক্ষায় এবং সপ্তমটি দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতেই মার্চ থেকে পঞ্চাশোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হর্ষবর্ধন বলেন, ‘‘মার্চ থেকে পঞ্চাশোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হবে। এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ চলছে। এখনও সরকারের হাতেই প্রতিষেধকের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। বাজারে প্রতিষেধক ছেড়ে দিলে সেই নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে। তাই চাহিদা বুঝে পদক্ষেপ করা হবে।’’